• ঢাকা
  • সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

একটি সেতুতে দুঃখ লাঘব হবে তিন জেলার মানুষের 


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:১৮ পিএম
দুঃখ লাঘব হবে তিন জেলার মানুষের 
একটি সেতু

মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: অবশেষে কিশোরগঞ্জের হাওড় অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার নামাকারা নদীতে নির্মিত হচ্ছে প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ পাকা সেতু। 

উপজেলার মৃগা- আজমিরীগঞ্জ সড়কের নামাকারা নদীতে একটি সেতুর অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার সঙ্গে। 

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার নামাকারা নদীতে নির্মিত হচ্ছে প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ পাকা সেতু। তিন জেলার মধ্যে এই দূরত্ব ঘুচতে এবং হাওড়বাসীর বিড়ম্বনা দূর করতে ইটনা উপজেলার নামাকারা নদীর ওপর ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৯৪ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওড়ে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সঙ্গে সহজ হবে সিলেট বিভাগের দুই জেলা সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার সড়ক যোগাযোগ। সেই সঙ্গে গতি আসবে অর্থনীতিতে, বাড়বে জীবনযাত্রার মান- এমনটি মনে করছেন হাওড়ের মানুষ। 

এলাকাবাসী জানান, ২০১৯ সালে সেতুর কাজ শুরু হলেও নামেমাত্র কাজ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে সেতু নির্মাণ। তবে দীর্ঘ ৫ বছর পর নতুন ঠিকাদার নিযোগ করে আবারও শুরু হয়েছে সেতু নির্মাণ কাজ। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে হাওড়ে উৎপাদিত ফসল সহজে শহরে নিয়ে বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি হাওড়ের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। সেতুর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বিল্ডার্স এন্ড মেসার্স এর ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম বলেন, ‘আমরা কাজটি হাতে পাওয়ার পর ব্রিজের বিশেষ কিছু কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছি। আশা করি এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে আগেই কাজটি শেষ করা যাবে।’ 

জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, আগের ঠিকাদার কাজটি ফেলে চলে যাওয়ার পূর্ণ দরপত্র আহ্বান করে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ২৫ ভাগ কাজ। নির্দিষ্ট সময়েরর মধ্যেই কাজটি শেষ হওয়ার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ৭০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। ২০২৬ সালের পহেলা জানুয়ারী প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image