মোহাম্মদ রুবেল
পরিবহনমালিকদের কথাছিল আজ শনিবার বিএনপির সমাবেশের দিন বাস চলবে। তবে সরজমিনে দেখাগেল বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। শনিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার রাস্তা থেকে উধাও বাস। রাজধানীর সড়কে বাস চলছে না বললেই চলে। যদিও কিছু রিকশা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার দেখা মিলছে সড়কে। তাও অন্যান্য দিনের চেয়ে সেগুলোর সংখ্যাও কম। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। অফিসমুখী বা বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নারীরা।
সকাল থেকে নগরীর ধানমন্ডি,শাহবাগ,গুলিস্তান,মতিঝিল পল্টনসহ কারওয়ানবাজার এলাকায় এ দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার যাত্রী। তবে গণপরিবহন না থাকলেও রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সা একমাত্র বাহন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। এ সুযোগে রিকশা, সিএনজি ভাড়াও হাকাচ্ছে দ্বিগুন।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন সবুজ (৩৫)। তিনি ক্ষোভ প্ররাজনৈতিক কারণে আমাদের কেন ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে অফিসে গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। সব সময় আতঙ্কে থাকি, রাজনৈতিক কারণে আমাদের কেন ভোগান্তি পোহাতে হবে। সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে অফিসে গিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। সব সময় আতঙ্কে থাকি, কখন যে অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়, আর আসার দরকার নেই।
তিনি আরও বলেন, ১ ঘণ্টা ধরে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। সড়কে কোনও গাড়ি নেই। শেষ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে যেতে হচ্ছে।
দৈনিবাংলামোড়ে দাড়িয়ে থাকা রবিউল ইসলাম চাকরি করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে। তিনি সকাল ৯টার অফিস ধরতে বাসা থেকে বের হয়েছেন সকাল সাড়ে সাতটায়। কিন্তু সড়কে কোন গণপরিবহন না থাকায এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা শহর, শহরতলি ও আন্তজেলা রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। বাস চলার ঘোষণা দেওয়ার পরও তা না চলার কারণ কী? এর জবাবে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আজ যাত্রী প্রায় নেই বললেই চলে। রাস্তায় তো মানুষই নেই। সে জন্য মালিকেরা বাস বের করছেন না। আর সঙ্গে ভয় তো আছেই। তবে দূরপাল্লার বাস চলবে। শহরের বাসও চলবে, দুপুরের পর।’
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,তাদের সমাবেশ পণ্ড করতেই ‘হঠাৎ’ পরিবহন ধর্মঘট চলছে। যেন নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে না পারে। এই ধর্মঘটের কারণে পথে পথে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষেরা।
ঢাকানিউজ২৪/আর
ঢাকানিউজ২৪.কম / মোহাম্মদ রুবেল
আপনার মতামত লিখুন: