নিউজ ডেস্ক
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রতি এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন।
রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।পরে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
উপপ্রেস সচিব বলেন,জাপানের রাষ্ট্রদূত বৈঠকে শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনেও এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেও জাপানি রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত,গত ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন,‘নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপর উদ্বেগ জানিয়েছিল।আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।’তার এমন মন্তব্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাকে ডেকে কড়া প্রতিবাদও জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করতে এলে বাংলাদেশে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে জাপানের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি লাভজনক স্থান। জাপানের বেসরকারি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বড় পরিসরে বিনিয়োগ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প যেমন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং মেট্রোরেল বাস্তবায়নে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন এবং রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সর্বদা পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা বিদেশিদের জন্য বরাদ্দকৃত পর্যটন স্থান গড়ে তুলতে জাপানের সহযোগিতাও কামনা করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত একে একটি ভালো উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য ভাসানচরের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তার ভূমিকার জন্য জাপানি রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন,১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল।প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকানিউজ২৪/এম আর
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: