ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeঅপরাধঅনুমতি ছাড়াই চা বাগানের গাছ কেটে সাবাড়

অনুমতি ছাড়াই চা বাগানের গাছ কেটে সাবাড়

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই একটি চা বাগানের অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি উপজেলার হালদা ভ্যালি চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে। কেটে ফেলা গাছগুলো স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা যায়, হালদা ভ্যালি চা বাগানের প্রধান সড়ক হয়ে লেবার লাইনের ১ থেকে ১১ নম্বর সেকশন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক আকাশমণি গাছ কেটে সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ নম্বর সেকশনে রাস্তার পাশে ১০-১৫টি আকাশমণি গাছের গুঁড়ি দেখা গেছে। কয়েকজন শ্রমিক সেখানে গাছ কাটার কাজ করছেন। রামু মুন্ডা নামে এক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাগানের প্রতি

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাগানের একজন সহকারী ব্যবস্থাপক বলেন, বাগানের প্রয়োজনেই গাছ কাটা হয়েছে। ঝড়ে এসব গাছ পড়ে গিয়েছিল। মৃত গাছে উলু পোকা আক্রমণ করে। এতে চা গাছের ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই এসব গাছ কাটা হয়েছে।

তবে গাছ কাটতে বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি স্বীকার করে ওই সহকারী ব্যবস্থাপক বলেন, গাছ কাটার জন্য বন বিভাগের লিখিত অনুমতি না থাকলেও বিষয়টি তাদের মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

হালদা ভ্যালি চা বাগানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক মো. মহসিন বলেন, ‘বাগানের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ে কিছু গাছ পড়ে যায়। এগুলোই কাটা হয়েছে। বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস। তা ছাড়া বাগানের মালিক এসব বিষয় সরাসরি দেখাশোনা করেন। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলুন।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইউনুস সমকালকে বলেন, ঝড়ে বাগানের কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলো তিনি কিনেছেন। অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করার অনুরোধ করেন।

বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। চা বাগানের গাছ কাটতে বন বিভাগ ছাড়াও চা বোর্ড, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হয়। এ বিষয়ে তিনি খোঁজ নেবেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হালদা ভ্যালি চা বাগানের মালিক ও পেড্রোলো গ্রুপের চেয়ারম্যান নাদের খানের ব্যক্তিগত নম্বরে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular