ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeআইন ও আদালতচাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক মামুনুর গ্রেপ্তার

চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক মামুনুর গ্রেপ্তার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বর্তমানে জনতা ব্যাংকের (এমডি) মজিবুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে ভূয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তার আপন শ্যালক মামুনুর রশীদ ফাত্তাহ। তারপর নিজের মোবাইল নম্বরসহ বাসস্থান পরিবর্তন করে গা-ঢাকা দেন।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ঢাকার শান্তিবাগের বাসা থেকে পলাতক ফাত্তাহ ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে গফরগাঁও থানা পুলিশ। পরে দুপুরে আসামিকে থানায় আনা হয়।

গ্রেপ্তার মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ (৪১) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে। সে ঢাকার শান্তিবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।

আরও জানা যায়, চাকরি প্রত্যাশীরা প্রতারক মামুনুর রশীদ ফাত্তাহ’র বোন জামাইকে দেখে টাকা লেনদেন করতেন। চাকরীর জন্য চুক্তিপত্র করার সময় ফাত্তাহ’র তার বোন জামাই টাকা নিবেন বলে লেনদেন করতেন। আবার টাকা নিয়ে অনেক সময় চাকরী প্রত্যাশিদের চেক দিতেন ফাত্তাহ। চেকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত প্রতারক মামুনুর রশীদ ফাত্তাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করার পর অনেক ভোক্তভোগী তার অপকর্মের সাক্ষী দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গফরগাঁও উপজেলার জন্মেজয় গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে নাহিদ আলমকে চাকরী দিবে তার কাছে চেকের বিনিময়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেয় মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ। চাকরী দিতে না পেরে গা-ঢাকা দেয়। পরে ২০১৯ সালে নাহিদ আলম ময়মনসিংহ যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাক্ষপ্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারী আদালত মামুনুর রশিদ ফাত্তাহকে এক বছরের কারাদন্ড ও ৫ লক্ষ টাকা অর্থতন্ড দেন। এরপর থেকে ফাত্তাহ পলাতক ছিল। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী নাহিদ আলম বলেন, আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পেয়েছি। পুলিশ প্রতারককে গ্রেপ্তার করলেও ফাত্তাহকে অনৈতিক ভাবে সাহায্যকারি বাইরে রয়ে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

অপর ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ ফাত্তাহর আপন চাচাতো ভাই শেখ আলীম রেজা আপেল বলেন, আমার কাছ থেকে ইউসিবি ব্যাংকে চাকরী দিবে বলে তার দুলাভাই (বর্তমান) জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবুর রহমানের নাম বলে সাত লাখ টাকা নেয় ফাত্তাহ। ২০১৯ সালে আমাকে ইউসিবি ব্যাংকের এমডি স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগপত্র দেন। চাকরীতে যোগদান করতে গিয়ে দেখি নিয়োগপত্রটি ভুয়া। এরপর টাকা ফেরত দেয়ার নামে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। টাকা চাইতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হুমকি দিয়ত ফাত্তাহর বড় বোন হ্যাপিসহ পরিবারের লোকজন। আমি আইনি প্রক্রিয়ার এগুতে গেলেও ফাত্তাহ ও তার পরিবার তারা ক্ষমতা খাটিয়ে পুলিশকে প্রভাবিত করেন।আমি তার শাস্তি ও টাকা ফেরত চাই।

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিব্বিরুল ইসলাম বলেন, আসামি অর্থ ঋণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। তাকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামুনুর রশিদ ফাত্তাহ’র স্ত্রী লাবনী আক্তার রুপালী ব্যাংক রাজারবাগ শাখার রেমিট্যান্স অফিসার। ফাত্তাহ’র বিষয়ে জানতে লাবনীর নাম্বারে কল দিলে রিসিভ করেন। কিন্তু, সংবাদকর্মী পরিচয় দিতেই তিনি লাইন কেটে দেন।

এসব বিষয়ে জানার জন্য ফোন দিলে জনতা ব্যাংকের এমডি মজিবুর রহমান রিসিভ করেননি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular