নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ২১ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) নির্বাচন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেল থেকে নির্বাচন মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারিত থাকলেও, সার্ভার সমস্যার কারণে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং এর আধা ঘণ্টা পর সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। পরবর্তীতে সমস্যা সমাধান করে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ভোটগ্রহণ আবার শুরু হয়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ)-এর নির্বাচন ও নমিনেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিরু শামসুন নাহার জানান, সার্ভারজনিত সমস্যার কারণে ভোটগ্রহণ বিলম্ব হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আরও ঘণ্টাখানেক সময় বাড়িয়ে ভোট চলবে। শতভাগ ভোট নিশ্চিত করার লক্ষ্য আমাদের।”
নিরু শামসুন নাহার আরও জানান, “প্রায় ২১ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেছেন এবং কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রার্থীদের মধ্যে আন্তরিকতা রয়েছে, কোনো বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নেই।”
এই নির্বাচনে দেশের ৩৪টি জেলা থেকে মোট ৩২,৩৩৪ জন ভোটার অনলাইনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করছেন।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিএনএ নির্বাচন ৩১ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। তবে ১ জুন, ২০২৫ তারিখে আদালত মামলার বাদিপক্ষের আনা অভিযোগ খারিজ করে দেয়, ফলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আর কোনো আইনি বাধা থাকেনি।
এরই প্রেক্ষিতে বিএনএ-এর জাতীয় কার্যনির্বাহী বোর্ড এবং নির্বাচন কমিশন এক জরুরি সভায় বসে এবং সিদ্ধান্ত নেয়, প্রার্থীরা ২ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের প্রচারণা চালাতে পারবে এবং ৩ জুন সারা দেশে কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটির নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনএ নির্বাচনী আচরণ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও শাখা কমিটির নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে। বিধিমালার ধারা ১৪ অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট দায়িত্ব পালন করছেন।
এই নির্বাচন অনলাইন ভোটিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো প্রক্রিয়া মনিটরিং করা হচ্ছে। কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।