নিউজ ডেস্ক : দেশের বেসরকারি, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মাসিক বেতন নিবন্ধন (MPO) ব্যবস্থাভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্দোলনের পর সোমবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন দেলাওয়ার হোসাইন আজিজী, যিনি শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সভাপতি ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্য সচিব।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, গত আট দিন তারা শ্রেণিকক্ষে যায়নি। সেই ঘাটতির ঘর তোলার জন্য বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস নেওয়া হবে। এছাড়া, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত আট দিন স্কুল-কলেজে ক্লাস গ্রহণ সম্ভব হয়নি, যা শিক্ষকরা ন্যায্য দাবি মনে করেছিলেন।
আন্দোলনের ফলস্বরূপ সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-শিক্ষকদের দাবি মেনে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শনিবারও খোলা থাকবে, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থাকে সচল রাখা হবে।
শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ক্লাস সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের পক্ষেই বলা হয়েছে — “শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান, আমরা তাদের ক্ষতি করবো না। কঠিন হলেও শ্রেণিকক্ষে ফিরব।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু দাবি রয়েছে — যেমন বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি, মেডিক্যাল ভাতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা আন্দোলনে রয়েছেন।
সরকার প্রথম পর্যায়ে বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ করে ঘোষণা করেছিল, যা শিক্ষকদের অপ্রতুল মনে হয়েছিল। পরে সরকারি সিদ্ধান্ত হয় ১৫ শতাংশ বাড়ানো যাবে দুই ধাপে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে— শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম পুনরায় সচল হবে।
শিক্ষার্থীরা শনিবার বন্ধ থাকার কারণে ঘাটতির পড়াশোনা দ্রুত পুষিয়ে নিতে পারবে।
শিক্ষকদের দল অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা স্বস্তিতে আসবেন বাড়িভাড়া ভাতার বৃদ্ধির কারণে।
কিন্তু শনিবার ক্লাস নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষকমণ্ডলীর অতিরিক্ত চাপ বাড়তে পারে — সময় ব্যবস্থাপনায় বাড়তি মনোযোগ লাগবে।
এই উদ্যোগ সফলভাবে চালু হয় কি না, তা সময় দেখাবে। বিশেষ করে— কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া কি হবে— কতটা সমর্থন পাওয়া যাবে। স্কুল-কলেজগুলোর নিয়মিত ক্লাস ও শনিবারের ক্লাস সমন্বয় কেমন হয়।
ঢাকানিউজ২৪/মহফ




