ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeকৃষিনান্দাইলে সরকারি সেচ মেশিন বিক্রি করায় ধানি জমি ফেটে চৌচির, কৃষকরা দিশেহারা

নান্দাইলে সরকারি সেচ মেশিন বিক্রি করায় ধানি জমি ফেটে চৌচির, কৃষকরা দিশেহারা

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের উপজেলা নান্দাইলে বিআরডিবি’র আওতায়ভূক্ত সরকারি সেচ মেশিন তথা ডীপটিউবওয়েল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিলেন সেচ মেশিনের ম্যানেজার আবু সাঈদ। পানি না উঠার কথা বলে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকায় সরকারের মূল্যবান ডীপটিউবওয়েলের মোটর ও পাইপ তুলে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এতে করে চলতি মৌসুমে পানির অভাবে প্রায় ৪০ একর জমিতে রূপনকৃত বোরো আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ঐ এলাকার কৃষকরা কোন উপায় না পেয়ে দিশেহারাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাচঁরুখী গ্রামের একটি সেচেঁর স্কীমে।

জানা গেছে, ১৯৮২ সনের পূর্বে স্থাপিত বিআরডিবি’র আওতায় সরকারি গভীর নলকুপটি পরিচালনা করে আসছেন দক্ষিণ পাচঁরুখী গ্রামের মৃত আ: জব্বারের পুত্র আবু সাঈদ (৬০)। বর্তমানে অত্র সেচ মেশিনের ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ পূর্বে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বা কোন অনুমোদন না নিয়ে টাকার বিনিময়ে সেচ মেশিন অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। সরকারি সেচ মেশিনের মোটর ও পাইপ তুলে নেওয়ার সময় স্থানীয় কৃষকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেশিনে পানি উঠছে না বলে তা সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানান। তবে এর কয়েকদিন পরেই নামমাত্র একটি জলমোটর ফেলে তা দিয়ে পানি উঠিয়ে কৃষকের মাঠে পানি সরবরাহ করলেও তাও অজ্ঞাত কারনেই উঠিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। স্থানীয় কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কায় ভোগছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গভীর নলকূপের আশপাশ বোরো ক্ষেতের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে, আবার কোথাও পানির অভাবে ধানের চারাগাছগুলোর পাতার রং লালচে হয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে ক্ষেতে পানি দিতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষকরা। এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক শহিদ মিয়া, শাহেদ আলী,আ:রাশিদ, শাকিল মিয়া সহ আরও অনেক কৃষকরা জানান, ফসল উৎপাদন করাই আমাদের একমাত্র জীবিকার উৎস্য। সেচ মেশিনের ম্যানেজার আবু সাঈদ তাঁর ইচ্ছামত কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এখন আমাদের বোরো ফসল কিভাবে রক্ষা করবো, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এ বিষয়ে উক্ত সেচ মেশিনের ম্যানেজার আবু সাঈদ কোন অনুমোদন ছাড়াই বিক্রির বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিক্রি করতে চাই না, আমাকে সকলে জোর করে চাপ দিয়েছে বলে বিক্রি করে দিয়েছি। বর্তমানে আমার ভাতিজা আরিফ শেয়ারে থেকে জলমোটর দিয়ে সেচ কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। আর আরিফ জোরপূর্বকভাবে তা বিক্রি করেছে। তবে মেশিন আপনার নামে, আরিফ কিভাবে বিক্রি করলো? এ ব্যাপারে আবু সাইদ আর কিছুই বলতে নারাজ। নান্দাইল উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আশরাফুল আকন্দ বলেন, আমি তো জানুয়ারি মাসে অন্যত্র বদলী হয়ে গেছি। এছাড়া বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা সেচ

কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন, সরজমিন তদন্তসাপেক্ষ দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular