
নিউজ ডেস্ক : টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগ পাওয়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার রোববার (১৯ নভেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে সেটি গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে নিজ দফতরে সোমবার (২০ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেও জানান মোস্তাফা জব্বার। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন করে পদত্যাগপত্র দিতে বলা হয়েছিল। পরে রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তারা পদত্যাগপত্র পাঠান।
তিনি বলেন, গতবারও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের নির্দেশনা দেন। এবারও নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই। আজকেও আমি চারটি ফাইল সই করেছি। অর্থাৎ, পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবো। গতবারও তাই করেছি।
রোববার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল পদত্যাগপত্র দিয়ে আজ অফিস করছেন কেন, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রথমত, পদত্যাগপত্র যতদিন গৃহীত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা কার্যকর হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালেও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছিলেন। তখন ৬ নভেম্বর আমি পদত্যাগপত্র জমা দিলে, সেটি ডিসেম্বরের ৬ বা ৭ তারিখে কার্যকর হয়েছিল। পদত্যাগপত্র যেদিন গৃহীত হবে, সেদিন থেকে আমার কাজ করার কিছু থাকবে না।
মন্ত্রী বলেন, আমাকে তো বলা হয়নি, আপনি দায়িত্ব পালন করবেন না। তাহলে আমি কী কারণে দায়িত্ব পালন করবো না। ২০১৮ সালে আমি জেনেছি, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে এই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়ে আসে।
তফসিল ঘোষণার সঙ্গে পদত্যাগপত্রের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, এর সম্পর্ক নির্বাচনের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তিনি যে নীতি প্রয়োগ করেছেন, সেটিকে আমি যথাযথ বলে মনে করি। কারণ তিনি যে নীতিতে বিশ্বাস করেন, একটি নির্বাচিত সরকার নির্বাচনকালীন সরকারকে পরিচালনা করবে। নির্বাচনের সময়ে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যেটি দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পড়ে না।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: