নিউস ডেস্ক: শ্যামগন্জে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় রফিকুল ইসলাম মাদানি সাংবাদিক সম্মেলন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর ও ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিব তাকে ফোন করেছিলেন বলে সাংবাদিকদের বলেছেন। বাবর সাব ও রাকিব ফোন করার পর তার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদেরকে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কেন মাদানি ? নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করার জন্য? রাত বারোটার সময় তার ভাইয়ের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে ছাত্র দলের পল্লব সহ অন্যান্যরা বলে তিনি বলেছেন।
বিগত ৫ আগষ্টের পরে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্ররা গাড়ি চেকিং করে তিনি কোনদিন এর প্রতিবাদ করেছেন কিনা?
পল্লবরা প্রশাসনের প্রশ্রয়ে প্রায় দিনই তারা গাড়ি ভর্তি চিনি -কম্বল – বালুর ট্রাকসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় বা গেছে। তারা দল বুঝে না। অনেক বি এন পি নেতার গাড়ির মালামাল পর্যন্ত নিয়ে গেছে এর আগে অভিযোগ আছে। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা যখন দেখল এম্বোল্যান্সে মহিলা সুস্থ তখনই তাদের সন্দেহ তৈরি হয়। নিশ্চয়ই ইলিগ্যাল কিছু আছে। বিতন্ডা শুরু হয় এবং ড্রাইভারের অদূরদর্শীতাই ঘটনার জন্য দায় বেশি। এম্বুল্যান্সে শুধু রোগীই যায় না মাদক যায় -অপরাধী পার হয় আসামি পার হয়।সেখানে সুস্থ মহিলা? তিনি নিজের দোষ স্বীকার করলেন না।
আওয়ামী লীগ মাদানি কে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো ও তার শারীরিক গঠনের কারণে বাবর সাবের মতো অনেক নেতার সাথে তার পরিচয় হয়েছে। সারাদেশে মাদানি হুজুর নাম পরিচিতি লাভ করেছে।মূলত আওয়ামী লীগের কল্যানেই সে আজ মাদানি হুজুর। অথচ কথায় কথায় আওয়ামী লীগের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করছে সে।
পল্লব আওয়ামী লীগের আমলে এম পির লোকজনের ছত্রছায়ায় ও এসব করেছে। ৫ আগষ্ঠের পরে সে বেপরোয়া হয়ে যায়। পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে শ্যামগন্জে অসহনীয় চাঁদাবাজি করেছে। ফাঁড়ির ইনচার্জের সামনে মাদানির লোকজনের শরীরে হাত তুলেছে পল্লব।
পল্লবের খুটির জোর কোথায়? পূর্বধলা ও শ্যামগন্জের উল্লেখযোগ্য লোকজনের অভিযোগ শ্যামগন্জেের পুলিশের তিন উর্ধতন কর্মকর্তা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তাদের আস্কারা পেয়ে পল্লব যাচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী শ্যামগন্জ ফাঁড়ির সকল সদস্যদের অতিদ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানায় ধন্যবাদ।