সুমন দত্ত: বাংলাদেশে ঔষধ ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি বিক্রয় কমিশন বাড়ানোর। তাদের এই দাবি ঔষধ কোম্পানিগুলোর কাছে কোনো আমলেই অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন ঔষধ ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেশী দেশগুলির চাইতে কম কমিশনে ঔষধ বিক্রয় করে থাকেন দেশের ব্যবসায়ীরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঔষধ বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেবার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আবদুল কাদির, ইকবাল লস্কর, তোফাজ্জল হোসেন, মো আলী, খলিলুর রহমান, দীন আলি, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোহসিন পাটোয়ারী,মো নাসির, মো শরীফ, মিজানুর রহমান, বাবলু, সৈয়দ মোহসিন, আজগর আলী, দীপক পাল প্রমুখ। পাশাপাশি সারা দেশ থেকে আসা ঔষধ বিক্রয়কারী পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরি।
তিনি বলেন, আমরা সারা দেশে ৫ লক্ষের মতো ঔষধ ব্যবসায়ী আছি।
১৯৪০ সাল থেকে আমাদের যাত্রা শুরু। আগে আমাদের ঔষধ বিক্রির কমিশন ছিল ১৫ পারসেন্ট। ২০২৫ সালে এসে সেই হার দাড়ায় ১২ পারসেন্টে। প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানে ঔষধ বিক্রির কমিশন ৩০ পারসেন্টের অধিক। আর আমাদের এখানে বিগত ৮৫ বছরে ঔষধ বিক্রির কমিশন কমেছে। আমাদের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের ট্রেড লাইসেন্স ফি, ড্রাগ লাইসেন্স ফি, ফার্মেসি কোর্স ফি, ট্যাক্স ও ভ্যাট সব বেড়েছে। আরো বেড়েছে দোকানের পজেশন, দোকান ভাড়া। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সহ নানা সেবার ফি বেড়ে গেছে।
এ কারণে, আমরা আগামীতে এই ঔষধ বিক্রির কমিশন ২৫ পারসেন্ট করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি না মানা হলে আমরা আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি দেব। বাংলাদেশে সব ঔষধ বিক্রির দোকান বন্ধ থাকবে। আমাদের দাবি অতি সত্বর পূরণ করতে হবে। তিনি ঔষধ কোম্পানির গুলির কাছে এই দাবি পেশ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে তিনি আরো বলেন, ঔষধের দাম কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তাদের কমিশন বাড়ানো হয় নাই। তাদের কমিশন বাড়লে ঔষধের দাম বাড়বে না বলে তিনি জানিয়েছেন।





