নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এখনও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে ‘অদূর ভবিষ্যতে’ সম্ভবত কথা বলবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তিনি বিশ্বের ৭০টির কাছাকাছি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু পুতিনের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। তবে শিগগিরই তার সাথে কথা হবে বলে জানান তিনি। তার কথায়, ‘আমার মনে হয়, আমরা কথা বলব।’ তবে কি বিষয়ে কথা বলবেন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর পরিকল্পনা পুতিনের নেই- ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর সোচি’র একটি রিসোর্টে আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে তার ঘোর বিরোধী ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণাজুড়ে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ’ করবেন । এজন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।
তবে মস্কো বরাবর সতর্কতার সাথে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমার মনে হয় না, এমন কোনো জাদুর কাঠি আছে যা রাতারাতি লড়াই বন্ধ করতে পারে।
মস্কো বলছে, তারা ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। তবে যেকোনো মিমাংসার শুরু হতে হবে ইউক্রেনের সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধের মাধ্যমে। এছাড়া বর্তমান ‘ভূখণ্ডগত বাস্তবতা’ মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া ও ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে না।
পুতিন ও ট্রাম্প ২০১৮ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে এবং পরের বছর জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেন। গত মাসে মার্কিন সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড এক প্রতিবেদনে দাবি করেন, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর থেকে ট্রাম্প এ পর্যন্ত অন্তত ৭ বার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না। তবে আমি আপনাকে বলব যে যদি আমি (ফোন) করেও থাকি, তাহলে তা নিশ্চিতভাবেই একটা ভালো কাজ হয়েছে। আমি যদি মানুষের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হই, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারি- সেটা অবশ্যই ভালো দিক; এতে খারাপ কিছু নেই।