নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি পাওয়ার অনিশ্চয়তার মধ্যেই বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেট উপস্থাপনের পর জুনেই আইএমএফের বাজেট সহায়তার কিস্তি পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী এই উপদেষ্টা। তিনি জানান, এরপরও ঋণ না পেলে বাজেট সহায়তার জন্য মরিয়া হয়ে ছুটবে না বাংলাদেশ।
৬ কিস্তিতে ঋণ ২০২৩ সালে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ দিতে সম্মত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। ৩টি কিস্তি বাংলাদেশ হাতে পেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রায় দুই সপ্তাহের ঢাকা সফর শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সংস্থাটির প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বেশ কিছু সন্তুষ্টির কথা জানালো ।
তবে বাজেট সহায়তার এই অর্থ পেতে জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পরপরই সিদ্ধান্ত জানতে চাইবেন অর্থ উপদেষ্টা। এ জন্য আগামী ২১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সম্মেলনেও সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও বৈঠক করবে বলে সময় সংবাদকে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাজেট ঘোষণা করার আগেই অর্থ ছাড়ের প্রতিশ্রুতি চেয়েছি। আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ওয়াশিংটনে শুধু আইএমএফ নয়, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গেও আলোচনা হবে।
রাজস্ব বোর্ড বিকেন্দ্রীকরণ, রিজার্ভের স্থিতিশীলতায় সন্তোষ জানিয়েছে আইএমএফ। রাজস্ব বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সমন্বয় করা হয়েছে জ্বালানির দাম। তবে খাদ্য, কৃষি খাতে দেয়া ভর্তুকি কমানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এনবিআরকে দুই ভাগ করা হচ্ছে। এটাকে আইএমএফ ভালো সিদ্ধান্ত বলেছে। সংস্থাটি ভর্তুকি কমানোর কথা বললেও, সেটি হুট করে কমানো সম্ভব নয়। আইএমএফের টাকা না পেলে দেশ চলবে না, এমনটি নয়। তবে পেলে ভালো হয়।
ওয়াশিংটনে সম্মেলন শেষে ২৯ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। ২ জুন ঘোষণা করা হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট।