ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeরাজনীতিআওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: এনসিপি

আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: এনসিপি

নিউজ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে চলমান সমাবেশে এই ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যে আলোচনা নিয়ে রাজনীতি সামনে আগাচ্ছে, সেটা হলো: সংস্কার, নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের বিচার। এর কোনোটিই একে অন্যের বিরোধী নয়, বরং এ তিনটির মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক রুপান্তর হওয়া সম্ভব।

এনসিপির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টালবাহানা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে, এই সিদ্ধান্ত জনগণ গত বছরের ৫ আগস্টই দিয়েছে। এরপরও কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে জুলাই যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করবে।

সমাবেশে বক্তব্যে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেছেন, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আমরা টালবাহানা দেখতে পাচ্ছি, এটা লজ্জাজনক। আমাদের হাইকোর্ট দেখাবেন না। হাইকোর্ট দেখে জুলাই বিপ্লব হয়নি।

আওয়ামী লীগকে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না, তা জুলাই প্রজন্ম জানতে চায়- উল্লেখ করে তারিকুল আরও বলেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা কোনো আমলাতন্ত্রিক জটিলতা দেখতে চান না। সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগে আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের পর নির্বাচনে যেতে হবে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, গত ৫ আগস্টেই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের রাজনীতির মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। এখন যারা খুনি আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি– এই দুরভিসন্ধি সফল হবে না। এ দেশের রাজপথ এনসিপি, ছাত্র-জনতা ও ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের দখলে থাকবে। আওয়ামী লীগকে যদি রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, তাহলে সেটা হবে আমাদের লাশের ওপর দিয়ে। যতদিন এনসিপি আছে, ততদিন এই খুনি চক্রের জন্য কোনো রাজনীতি থাকবে না।

দিল্লি নির্ভর রাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর চলবে না, তেমনি চলবে না ভারতপন্থি বা দিল্লির নির্দেশে পরিচালিত কোনো রাজনীতি। এ দেশ হবে বাংলাদেশপন্থি রাজনীতির দেশ। যারা দিল্লির অ্যাজেন্ডা চাপিয়ে দিতে চাইবেন, তাদের প্রতিহত করা হবে। আপনারা নির্বাচন করতে চান, আমরাও প্রস্তুত। তাদের রাজনৈতিক উপস্থিতি এ দেশে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন বলেন, খুনি হাসিনাকে আমরা বিদায় করেছি। এই বিজয় আমাদের ধরে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগ আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না, ইনশা আল্লাহ।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী বলেন, খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলাতে হবে। এ ছাড়া মৌলিক সংস্কার ছাড়া আবারও একটি নির্বাচনের দিকে যাওয়া হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে ন্যূনতম টালবাহানা করবেন না। মৌলিক সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়।

দলের যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ বলেন, আগামীর রাজনীতি হবে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে ছুড়ে ফেলার রাজনীতি। যে সাংবাদিকেরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করছে, তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার রাজনীতি।

মঞ্চে আছেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular