ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeকৃষিআফ্রিকার ছাগল দেশের বাজারে

আফ্রিকার ছাগল দেশের বাজারে

দেশের বাজারে দ্রুত বর্ধনশীল ভিনদেশি এক ছাগলের বিচরণ। সাদা ও বাদামী রঙের এই ছাগলের নাম বোয়ার। এসেছে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে।

দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে আসা এসব ছাগল এরই মধ্যে খাপ খাইয়ে নিয়েছে দেশি আবহাওয়া আর জলবায়ুর সঙ্গে। দ্রুততম সময়ে দেশি জাতের ছাগলের সঙ্গে শংকরায়নের (ক্রস ব্রিডিং) মাধ্যমে দ্রুত বর্ধনশীল এই ছাগলের সম্প্রসারণ ও মান করা হয়েছে।
দেশি মুরগী আর ডিমের নির্ভরশীলতার বিপরীতে দেশে আজ পোল্ট্রি শিল্পের যেমন বিকাশ হয়েছে, তেমনি এই ছাগল নিয়েও আশাবাদী সবাই। দেশে ছাগলের মাংসের চাহিদার বিপরীতে এই প্রজাতির ছাগলের সম্প্রসারণ নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

এই প্রজাতির ছাগলগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য- এগুলো দ্রুত বর্ধনশীল। মাংসও সুস্বাদু। দেশে প্রায় আড়াইকোটি ছাগলের অধিকাংশই ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের। এগুলোর গড় ওজন ১২-১৬ কেজি। অন্যদিকে আফ্রিকার বোয়ার প্রজাতির ছাগলের গড় ওজন ৯০ থেকে ১৩৫ কেজি হতে পারে। প্রতিদিন এই ছাগলের বৃদ্ধির হার ২১০ থেকে ২২০ গ্রাম। সে তুলনায় দেশি জাতের ছাগলের বৃদ্ধির হার ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম।

দেশে বছরে মাংসের চাহিদা ৬৪ লাখ মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হচ্ছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। সে হিসেবে বছরে মাথাপিছু ৪৩ দশমিক ৮ কেজি চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৩ কেজি মাংস। তাই নতুন জাতের এই ছাগলের সম্প্রসারণ নিয়ে আশাবাদী দেশি বিজ্ঞানীরা।

দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অনেকেরই আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস ছাগল পালন। বেকার সমস্যা ও দারিদ্র্য কমানোর পাশাপাশি মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে নতুন প্রজাতির ভিনদেশি এই ছাগল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular