ড. নুসরাতে আজীজ
১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলি হামলার মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। ১২ দিনের পর সে যুদ্ধ থামলে কেউ কেউ বলছেন, এই যুদ্ধে ইরান জিতেছে আর ইসরায়েল-আমেরিকা জোট হেরেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই যুদ্ধে কার হার কম হয়েছে, আর কার বেশি হয়েছে, তা আলোচনাসাপেক্ষ।
ইরান তার বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের হারিয়েছে। অনেক আইআরজিসি কমান্ডার ও সদস্যকে হারিয়েছে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল, জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র এবং বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িসহ অনেক অবকাঠামো আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। তাদের অনেক নিরপরাধ শিশু, মহিলা ও সাধারণ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ৬২৭ জন নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৭০ জন, যাঁদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।
অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলছেন, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘বিশাল জয় হয়েছে’। তারা ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক সক্ষমতা ও ব্যালিস্টিক মিসাইল সক্ষমতার অধিকাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে।
যদিও নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএন পেন্টাগনের প্রাথমিক অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে বলছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বোমাবর্ষণের ফলে দুটি স্থাপনার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে, তবে এই হামলা ভূগর্ভস্থ ভবন ধ্বংস করতে পারেনি। প্রতিবেদন আরও বলছে, আমেরিকার চালানো হামলাগুলোর ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে। এর মানে, মাত্র কয়েক মাসেই ইরান তার নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম ঠিক আগের অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, এই যুদ্ধে তাদের ২৮ জন সাধারণ নাগরিক আর ১ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনার মৃত্যু হয়েছে মাত্র। আর এই যুদ্ধে ইসরায়েলের আহত ব্যক্তির কোনো হিসাব দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, মৃত্যুর সংখ্যা হিসাবে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। যদিও অনেকে ইসরায়েলের পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে বিশ্ব মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, এই যুদ্ধে ইসরায়েলের অনেক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের প্রধান সামরিক ও গোয়েন্দা লক্ষ্যবস্তু, কিরিয়া কম্পাউন্ড, আইডিএফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স স্কুল এবং ওয়েইজম্যান বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট। তা ছাড়া ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি থাকা গাভ-ইয়াম নেগেভ প্রযুক্তি পার্ক, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্সে, হাইফার বাজান তেল শোধনাগার, হাইফা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও হার্জলিয়ার বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সোরোকা মেডিকেল সেন্টারের কাঠামোগত ক্ষতি ও রাসায়নিক লিকেজ হয়েছে এবং এতে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন। তা ছাড়া ইসরায়েলের রামাত গান, বাত ইয়াম, পেতাহ তিকভা, রিশন লে-সিওন, বেনে ব্রাক ও তামরা এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের স্থানীয় বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ, ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত ক্ষতিপূরণ চেয়ে সরকারের কাছে ৪১ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে, যার মধ্যে বাড়ির ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন ৩৩ হাজার আর গাড়ি ও যন্ত্রাংশ ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন ৮ হাজার ইসরায়েলি নাগরিক। আবার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যক্তিদের হোটেল খরচ বাবদ ইসরায়েলি সরকারকে আনুমানিক ২৯ মিলিয়ন ডলার খরচ বহন করতে হবে। অবকাঠামোগত ক্ষতি অনুমান করা হচ্ছে কমপক্ষে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। অধিকন্তু, ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারকে আনুমানিক ৫৭০ থেকে ৮৬০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাদের ‘তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি’ বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা মোটেই সঠিক নয়।
তিন.
যুদ্ধকে শুধু বাহ্যিক ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে বিচার করলে হয় না। এতে আরও অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়। ইসরায়েল এই যুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে। বিনা উসকানিতে ইরানে হামলা করেছে। তারা এই যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে। এই যুদ্ধের মূল আক্রমণকারী হিসেবে ইসরায়েলকে তাই সারা বিশ্ব ‘অপরাধী’ মনে করে। এতে গাজার বর্বরতার পর ইসরায়েলের যতটুকু ইমেজ বাকি ছিল, তা–ও তারা সম্পূর্ণ হারিয়েছে।
অন্যদিকে, এই যুদ্ধে আমেরিকা ইসরায়েলকে শুধু অস্ত্র ও গোয়েন্দা সহযোগিতা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সরাসরি যুদ্ধে শামিল হয়েছে। ২১ জুন আমেরিকা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে হামলা চালিয়েছে। আমেরিকার এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ, পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি), এমনকি মার্কিন সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই ইসরায়েলের সঙ্গে আমেরিকারও আন্তর্জাতিক ইমেজ অনেকটা নষ্ট হয়েছে।
ইসরায়েল হয়তো ভেবেছিল যেমন করে তারা গাজায় হামাসের নেতাদের এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যা করে তাদের দুর্বল করে দিয়েছে, ঠিক সেভাবে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীদের এবং তাদের আইআরজিসি কমান্ডারদের হত্যা করে ইরানকেও দুর্বল করে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের একক পরাশক্তি হিসেবে ঘোষণা দেবে। কিন্তু তাদের অনুমান ভুল প্রমাণিত করে ইরান বরং মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রতিষ্ঠিত পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
ইরান আমেরিকাকে শুধু আগ্রাসনকারী হিসেবে নয়, বিট্রেয়ার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছে। দুই কারণে তারা আমেরিকাকে বিট্রেয়ার বলছে। এক. ইরান ও আমেরিকার মধ্যে নেগোসিয়েশন চলাকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে ইরানে হামলা করার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন। দুই. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি এই যুদ্ধে যোগ দেবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন, কিন্তু এই ঘোষণার মাত্র দুই দিনের মধ্যেই আমেরিকা ইরান আক্রমণ করেছে। এতে আমেরিকা বিশ্বের কাছে তার বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটা হারিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই যুদ্ধের মাধ্যমে আমেরিকা বিশ্বের কাছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করেছে। তা হলো, আমেরিকার যেকোনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি প্রশাসনের স্বার্থের আলোকে ও তাদের পরামর্শে হয়। বিশ্বের কাছে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে ইসরায়েল যদি কোনো কিছু চায়, এতে আমেরিকার স্বার্থ থাকুক বা না থাকুক, সেটি আমেরিকাকে কোনো না কোনোভাবে মেনে নিতে হয়। বলা হয়, আমেরিকার জাতীয় নির্বাচনে ইসরায়েলি লবিস্ট গ্রুপ এইপ্যাকের (এআইপিএসি) বিশেষ ভূমিকা থাকায় ইসরায়েলের কোনো সিদ্ধান্তে আমেরিকান প্রশাসন না বলতে পারে না। কেউ ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের বিপরীতে গেলে আমেরিকায় তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আমেরিকানরাও এখন বলতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ বলে ক্ষমতায় গিয়েছেন বটে, কিন্তু তিনি এখন ‘ইসরায়েল ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করছেন। ইরান আক্রমণে আমেরিকার স্বার্থ না থাকার পরও ইসরায়েলি প্রশাসনকে খুশি করতে আমেরিকা এই আক্রমণ করেছে। এতে আমেরিকার স্বার্থের অনেক ক্ষতি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ থেকে ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি এবং সেখানে থাকা প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার সৈন্য হুমকির মুখে পড়েছিলেন। অনেকে তাই ট্রাম্পকে আমেরিকার ‘প্রথম জুইশ প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দিয়েছেন।
চার.
এই যুদ্ধ থেকে ইরান দেশ হিসেবে অনেক কিছু শিখেছে। তারা শিখেছে কীভাবে বিশ্বের শীর্ষ সামরিক জোটকে সামরিকভাবে মোকাবিলা করতে হয়। ইসরায়েলের ক্ষতির পরিসংখ্যান বলে দেয়, এই যুদ্ধে ইরানের হাতে ইসরায়েলকে রীতিমতো হেনস্তা হতে হয়েছে। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’, ‘ডেভিড স্লিংস’ ও ‘অ্যারো’ তাদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। ইরান প্রমাণ করেছে ইসরায়েলের আকাশসীমা আর ‘অভেদ্য’ নয়। এই যুদ্ধে ইরান বিশ্বের কাছে তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এই যুদ্ধের মাধ্যমে তারা বিশ্বে একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইরান কখনোই আগে আক্রমণ করেনি। তারা ঠান্ডা মাথায় ইসরায়েলের প্রতিটি আক্রমণের প্রতিউত্তর দিয়েছে। ইরান প্রথমে তাদের আক্রমণের বৈধতার জন্য অপেক্ষা করেছে। অর্থাৎ ইসরায়েল আগে আক্রমণ করেছে। এরপর ইরান ইসরায়েলের প্রতিটি আক্রমণের জবাব দিয়েছে। উল্লেখ্য, ইরানের প্রতিটি প্রতি-আক্রমণ ছিল সূক্ষ্মভাবে হিসাব করা।
ইরান ‘হাতের বদলে হাত’ নীতিতে বিশ্বাসী। একটু সূক্ষ্মভাবে ভাবলে বোঝা যাবে, আমেরিকার হামলায় ইরানের নিউক্লিয়ার অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু কোনো মানুষ হতাহত হয়নি। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান কাতারে ও ইরাকে অবস্থিত আমেরিকার সামরিক অবকাঠামোতে হামলা করেছে এতটাই সূক্ষ্মভাবে, যাতে কাউকে হতাহত হতে না হয়। কিন্তু অবকাঠামোতে আঘাত হানা যায়।
ইরানের হাসপাতালে হামলার জবাবে তারা ইসরায়েলের হসপিটালে হামলা চালিয়েছে। ইরানের বিজ্ঞানীদের হামলার প্রতিউত্তরে ইসরায়েলের গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি বিজ্ঞান গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, Weizmann Institute of Science ইরানি মিসাইল ধ্বংস করেছে। কে জানে, এতে কত ইসরায়েলি বিজ্ঞানী হতাহত হয়েছেন? নেতানিয়াহু নিজেই স্বীকার করেছেন, সেই আক্রমণে তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসাব ইসরায়েল কোনো দিন দেবে বলে মনে হয় না।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল নিজেকে পরম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ইসরায়েলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নেই। তারা তাদের দেশে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয়। গাজায় ইসরায়েলের হাতে অসংখ্য সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলে অনেক সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল।
পাঁচ.
ইসরায়েল হয়তো ভেবেছিল যেমন করে তারা গাজায় হামাসের নেতাদের এবং লেবাননে হিজবুল্লাহ নেতাদের হত্যা করে তাদের দুর্বল করে দিয়েছে, ঠিক সেভাবে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানীদের এবং তাদের আইআরজিসি কমান্ডারদের হত্যা করে ইরানকেও দুর্বল করে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের একক পরাশক্তি হিসেবে ঘোষণা দেবে। কিন্তু তাদের অনুমান ভুল প্রমাণিত করে ইরান বরং মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রতিষ্ঠিত পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বের কাছে নিজেকে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এটি এই যুদ্ধে ইরানের বড় অর্জন।
অন্যদিকে ইসরায়েলকে এই আক্রমণে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়ে আমেরিকা শক্ত অবস্থানে থেকে ‘নিউক্লিয়ার নেগোসিয়েশনের’ যে সুযোগ তাদের হাতে ছিল, তা হাত ছাড়া করেছে। এই নেগোসিয়েশনে আমেরিকার এখন আর ‘আপার হ্যান্ড’ থাকল না। এই মুহূর্তে বরং কোনো নিউক্লিয়ার নেগোসিয়েশনে ইরানের শক্ত অবস্থান থাকাটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, হয়তো এই যুদ্ধই ইরানকে কয়েক বছরের মধ্যে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করবে। কারণ, ইরান এখন জানে ইসরায়েল এবং আমেরিকা কোথায় ও কীভাবে আঘাত করতে পারে। তারা জানে, ইসরায়েল বা আমেরিকার আঘাত কতটা শক্তিশালী হতে পারে। তারা জানে, সিআইএ ও মোসাদ কীভাবে কাজ করে। ইরান আরও জানে, একমাত্র পারমাণবিক বোমার অধিকারী হওয়া-ই কোনো বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে নিজ দেশকে রক্ষা করার ইনস্যুরেন্স।
গবেষক ও একাডেমিক