ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসর্বশেষঈদ যাত্রার কোচ মেরামতে ব্যস্ততা সৈয়দপুর রেলকারখানায়

ঈদ যাত্রার কোচ মেরামতে ব্যস্ততা সৈয়দপুর রেলকারখানায়

নীলফামারী প্রতিনিধি : ঈদ যাত্রার কোচ মেরামতে ব্যস্ততা দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা। ঈদের আগেই রেলবহরে সংযুক্ত করতে মেরামতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। যাত্রীদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এ ব্যস্ততা। এসব মেরামত করা কোচ আন্ত:নগর ট্রেনসহ সংযুক্ত করা হবে বিশেষ স্পেশাল ট্রেনে। এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

১৮৭০ সালে ১১০ একর জমিতে সৈয়দপুর রেলকারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ কারখানার ২৮টি শপে কোচ মেরামত করা হয়। এ ছাড়া ক্যারেজ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভের ১ হাজার ২০০ রকমের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি হয় এ কারখানায়। অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামতে অল্প সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারী কাজ করে চলেছেন। ফলে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
সূত্রটি আরও বলেছে, বর্তমানে কারখানাটিতে কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীর পদ ২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে আছেন ৭১৬ জন। অর্থাৎ ২ হাজার ১৪৩টি পদই শূন্য। জনবলসংকটের কারণে কারখানায় ক্যারেজ মেরামতের প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন তিনটি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হচ্ছে দুটি করে কোচ। ২৮টি শপে ৭৪০টি মেশিন পরিচালনায় নেই প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক। এদিকে কারখানায় নেই পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দও। এতে চাহিদা ও সময়মতো কাঁচামালের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।অল্প সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী ঈদ যাত্রার কোচ মেরামতে কাজ করে চলেছেন। জনবল সঙ্কটে চারজনের কাজ করছেন একজন শ্রমিক। প্রতিমাসে ৩২টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ঈদে সেই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন তিনগুণ হয়।

এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৪৫ কর্মদিবসে ১০০টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। এরমধ্যে ৬০টি কোচ ইতিমধ্যে মেরামত শেষ করে রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলো এরমধ্যে মেরামত শেষ করে রেলবহরে যুক্ত করা হবে বলে সূত্রটি জানায়।

সৈয়দপরে রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপের ইনচার্জ (এসএসএই) মমিনুল ইসলাম জানান, এ কারখানায় মিটার গেজ (ছোট) ও ব্রড গেজ (বড়) উভয় লাইনের কোচ ওয়াগন মেরামত হয়ে থাকে। বর্তমানে কারখানায় ঈদ যাত্রার কোচ মেরামত কাজ চলছে পুরোদমে। এসব মেরামত শেষে আন্তনগর ট্রেন সহ বিশেষ ট্রেনে সংযোজন করা হবে। যাতে যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছতে পারেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২৮৯ জনকে খালাসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপরও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে শ্রমিকেরা অতিরিক্ত সময় কাজ করে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন। জনবলসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শূন্যপদগুলো পূরণ হলে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে আবার এ কারখানা কর্মমুখর হবে।

ঈদের কোচ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে কারখানার শ্রমিকরা কাজ করছেন। আশাকরি ঈদের আগেই সব কোচ রেলবহরে সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। এর ফলে এবার ঈদে যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular