নিউজ ডেস্ক: গফরগাঁও পাগলা থানাধিন উস্থি ইউনিয়ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটেছে চুরি ডাকাতি ছিনতাই দখল লুটপাট মাদককারবারি মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধা কর্মকান্ড । এইসবের প্রতিকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর না হওয়ায় অপরাধীরা দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। অপরাধীদের ভয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
জানাগেছে, কোন অপরাধ সংঘঠিত হলে ভোক্তভোগিরা থানায় অভিযোগ দিলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে টালবাহানা করা হচ্ছে । অন্যদিকে সন্ত্রাসিরা বাদীপক্ষকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করছে। আবার অভিযোগ হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসীদের পালনকারী কিছু প্রভাবশালী চিহ্নিত ব্যাক্তি তাদের বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে । এই অপরাধীরা যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের নাম ভাংগীয়ে সন্ত্রাসী কমকান্ড চালায় ।
সম্প্রতি এলাকায় ভয়াবহ এক ছিনতাই ও রাহাজানির ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে পাগলা থানায় একটি মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। যাহার নং ১২/১১৯ তারিখ ২৯/১০/০২৪। অভিযোগ মতে সন্ধ্যায় বাদী মোঃ জাহিদুল ইসলাম গন্ডপাড়া গ্রামের শওকত মাষ্টারের বাড়ি থেকে অটোরিক্সায় কিশোরগঞ্জের যাবার পথে চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিপন, তপন, দর্পন, সাজ্জাদসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বাওটা্র পুলের কাছে ইটখলার সামনে তাকে মারধর করে এবং ৫২ হাজার নগদ টাকা ও ২১ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এবিষয়ে পাগলা থানা ও স্থানীয় সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটানাস্থলে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে তার সত্যতা খুঁজে পায়। পুলিশ অজানা কারনে সন্ত্রাসীদের গ্ৰেফতার না করে মামলাটির চার্জসীট আদালতে প্রেরণ করে।
এদিকে মালালা হবার পরও আসামীরা গ্ৰেফতার না হওয়ায় তারা বাদীর আত্মীয়স্বজনকে নানান হুমকি ও ভয়ভীতি প্রর্দশন করে । বর্তমানে এদের ভয়ে বাদীর আত্বাীয় স্বজণ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এর আগেও অসংখ্য অপরাধের তথ্য থাকলেও কেউ মুখ খোলে সাহস পাচ্ছেনা ।