ফুলবাড়ীতে (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: একই রশিতে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রাম থেকে ওই মা ও মেয়ের মরদেহ করা হয়। তবে পরিবারে দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যা।
নিহতরা হলেন: পার্বতীপুর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন মেয়ে লাকি বেগম (২৬) ও তার নাতনি মরিয়ম (০৬)
অভিযুক্ত মহরম আলী (৪৫) উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, মহরম আলীর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে তিনি লাকি বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে লাকির স্বামী তার পরকীয়া আছে বলে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। মঙ্গলবার সকালে স্বামী মহরম আলী প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই চিনি দিতে যান।
দুপুরে লাকি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম একই রশিতে গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, লাকি বেগমের সঙ্গে কারো পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে তার স্বামী সন্দেহ করতেন। সে কারণে তাকে মারধর করায় লাকি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
এ দিকে মৃত লাকি বেগমের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন আজ তোর মেয়েকে মারতে মারতে মেরে ফেলবো।’ মঞ্জিলা বেগমের দাবি, তার জামাই মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।’
ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’