ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসারাদেশপাবনা৭১‌কে অস্বীকার করা হলে তা মেনে নেব না: ইকবাল হাসান

৭১‌কে অস্বীকার করা হলে তা মেনে নেব না: ইকবাল হাসান

নিজস্ব প্রতি‌বেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) বলেছেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে যদি অস্বীকার করা হয়, তা তো আমরা মেনে নেব না। মা-বোনের ইজ্জত, শহীদের রক্তে স্বাধীনতা এসেছে। সেটাকে তো বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না।

তি‌নি ব‌লেন, সংস্কার করবে একটি নির্বাচিত সরকার। তাই আগে নির্বাচন, তারপর অন্য কিছু।

মঙ্গলবার পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ এ কথাগুলো বলেন।

বিএন‌পির এ জ্যোষ্ঠ নেতা ব‌লেন, আজকে সংস্কার সংস্কার বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, যা–ই বলছে তা–ই নাকি আমরা না করছি। আমরা তো সংস্কারের বিরোধিতা করিনি। সংস্কার করতে হলে তো পার্লামেন্ট লাগবে, আইন লাগবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে যা কিছু নতুন, তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করেছেন। এখন নতুন ৩১ দফা তারেক রহমান দিয়েছেন। এতেই সব বলা আছে।’

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হয়েছিল, কিন্তু হায়েনামুক্ত ছিল না। শেখ হাসিনা ছিল সেই হায়েনা। বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে দেশ আজ মুক্ত হয়েছে; কিন্তু এখনো মুক্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের গড়া বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম, তখন তারা পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে আমাদের বিরোধিতা করেছিল। তারাই ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কাউকে বাদ দিয়ে রাজনীতি করতে চাননি। তাই এ দলটিকে রাজনীতি করতে দিয়েছিল।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, একটি দল আগে স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন। আপনারা একাত্তরে ষড়যন্ত্র করেছেন, এখনো ষড়যন্ত্র করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ ইউনিয়ন-উপজেলা নির্বাচন নয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। নির্বাচন কমিশন সেটা করে দেয়। তাই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই।

ইকবাল হাসান মাহমুদ ইন্ডিয়া টুডের একটি সংবাদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে ফেরার জন্য আল্লাহ তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। খবরটি পড়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ বলেছি। হ্যাঁ, আসলেই তাই, আপনি আসবেন; তবে রাজনীতি করার জন্য নয়, ফাঁসির জন্য। কারণ, আপনি খুন করেছেন, তা দেশের মানুষ নয়, জাতিসংঘ বলেছে।

ভারত প্রসঙ্গে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ভারত বৃহৎ প্রতিবেশী, এটা স্বীকার করি। তবে বাড়ির পাশে বড়লোক প্রতিবেশী থাকলে ছোট প্রতিবেশীর ভালোমন্দ দেখেন, এটাই নিয়ম। কিন্তু আপনি বড় প্রতিবেশী হয়ে সব সময় মোড়লগিরি করবেন, সেটা বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির উত্তরাঞ্চলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular