নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পলাতক ও সাবেক সংসদ সদস্যদের নামে আনা ৫টি ল্যান্ড ক্রুজার কিনতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চেয়েছে। সরাসরি নিলামে অংশ না নিলেও প্রতিটি গাড়ি ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রিজার্ভ মূল্যে কিনতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম নিলামে বিক্রি না হওয়া এমপি কোটার ৩০টি গাড়ির জন্য দ্বিতীয় দফায় নিলাম আয়োজন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।
চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা এমপি কোটার এসব গাড়ি এমনিতেই সাধারণের ব্যবহারের অনুমতি নেই। তাই কিনে নিয়ে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের যানবাহন সংকটের তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি ৫টি ভিআইপি ল্যান্ড ক্রুজার কেনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমস যেই নিলাম প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে সেখানে তাদের রিজার্ভ ভ্যালু অনুযায়ী তারা কোনো দাম পাচ্ছে না। তবে রিজার্ভ ভ্যালুতেই ৫টি গাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
প্রতিটি গাড়ির রিজার্ভ মূল্য ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করে ২৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। কিন্তু প্রথম নিলামে গাড়ির সর্বোচ্চ মূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ উঠলেও রিজার্ভ মূল্যের ৬০ শতাংশ না হওয়ায় কোনো গাড়ি বিক্রি সম্ভব হয়নি। এমনকি ৯টি গাড়ি কেনার জন্য আগ্রহ দেখায়নি কোনো বিডার।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, বন্দর যদি ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় গাড়িগুলো কিনতে পারে তাহলে বাড়বে রাজস্ব। কারণ বন্দর শতভাগ রিজার্ভ ভ্যালুতে গাড়িগুলো কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পেলেও গাড়ি কিনতে গেলে বন্দরকে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে বলে মনে করেন বিডার নেতারা। বিশেষ করে এমপি কোটার গাড়িগুলো নিলাম ক্যাটালগভুক্ত হওয়ায় নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবেই গাড়ি কিনতে হবে বন্দরকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, কোনো সংস্থা ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি কিনতে চাইলে তাকেও নিলামে মাধ্যমে কিনতে হবে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে এসব গাড়ি সরকারি বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজস্ব বোর্ডের অনুমতি সাপেক্ষে কিনতে পারবে।