ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeঅর্থনীতিএশিয়ার দেশগুলোয় কমছে চালের দাম

এশিয়ার দেশগুলোয় কমছে চালের দাম

নিউজ ডেস্ক:   ভারত রফতানি শুল্ক কমানোর পর থেকে এশিয়ার দেশগুলোয় ধারাবাহিকভাবে কমছে চালের দাম। ভারতে চালের রফতানি মূল্য চলতি সপ্তাহে আরো কমেছে। গত ১৫ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে পণ্যটির দাম। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারতে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের টনপ্রতি মূল্য ছিল ৪৪২-৪৪৯ ডলার, যা গত বছরের ২০ জুলাইয়ের পর থেকে সর্বনিম্ন। গত সপ্তাহে দেশটিতে চালের মূল্য ছিল ৪৫০-৪৮৪ ডলার। ভারতের চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত প্রতি টন সাদা চাল টনপ্রতি ৪৪৯-৪৫৫ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে।

দিল্লিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারত রফতানি শুল্ক কমানোর পর থেকে রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে। তবে দেশটিতে চালের চাহিদা এখনো ঊর্ধ্বমুখী। আমদানিকারকরা কম দামে চাল ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এছাড়া রুপির বিনিময় হার কমে যাওয়া ও নতুন মৌসুমের ধানের সরবরাহ চলে আসায়ও রফতানিকারকরা দাম আরো কমাচ্ছেন।’

ভারত চলতি মাসের শুরুতে চালের রফতানি শুল্ক তুলে নেয়ার পাশাপাশি বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্যও বাতিল করেছে।

চলতি সপ্তাহে থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের মূল্য ছিল টনপ্রতি ৪৮৫-৪৯৫ ডলার, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫১০ ডলার। ব্যবসায়ীরা জানান. ডলারের বিপরীতে বাথের দুর্বল বিনিময় হার ও মুদ্রার মানের ওঠানামা চালের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

সম্প্রতি ভিয়েতনামের তুলনায় সস্তা দামে চাল বিক্রি করছে থাইল্যান্ড। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক ব্যবসায়ীরা বলেন, দাম কম থাকায় ইন্দোনেশিয়ার একটি দরপত্রে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্রয় সংস্থা বুলোগ সম্প্রতি পাঁচ লাখ টন চাল ক্রয়ের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র প্রকাশ করেছে।

ভিয়েতনামেও চলতি সপ্তাহে কমেছে চালের দাম। দেশটিতে এ সময় ৫ শতাংশ খুদযুক্ত প্রতি টন চালের মূল্য ছিল ৫২০-৫২৫ ডলার, গত সপ্তাহে যা ছিল টনপ্রতি ৫৩২ ডলার।

দেশটির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রফতানিকারকরা ইন্দোনেশিয়ার বুলোগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন।’

এদিকে বাংলাদেশে চালের দাম বেশি থাকায় চালের রফতানি শুল্ক আরো কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি দেশে রফতানি শুল্ক কমানো হলেও খরচ বেশি হওয়ায় আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ও ভোক্তাদের ওপর চাপ কমাতে ৫ শতাংশ রফতানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular