নিউজ ডেস্ক : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) ড. মুহাম্মাদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. শেখ শরিফুল আলমকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘ ৫৭ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১টার পরে তারা অনশন ভাঙেন।
এর আগে রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অব্যাহতির খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন।
এদিকে কুয়েট সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষা কমসূচিতে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২৩ এপ্রিল সিন্ডিকেটের সভায় সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে বিকেল থেকে ছাত্রদের ছয়টি ও ছাত্রীদের একটি হল খুলে দেওয়া হয়। আগামী ৪মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।