মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কুলাউড়া সীমান্তে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভারতীয় নাগরিকদের হাতে এক বাংলাদেশি যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এওলাছড়া বস্তি এলাকার শূন্যরেখার কাছে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা যায়, নিহত আহাদ আলী (৩৪) এওলাছড়া বস্তি এলাকার ইউনুছ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী জমিরুননেছা বাদী হয়ে গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা করেন।
সোমবার মামলার বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো: কামরুল হাসান নিশ্চিত করে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এটি রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয় নয়। নিহত ৪৫ বছর বয়সী আহাদ আলী এওলাছড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। নিহতের মরদেহ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। সেখানে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে বলেন তিনি।
উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ বলেন, হত্যার ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
নিহত আহাদ আলীর শ্বশুর বাড়ি ভারতীয় অংশে পড়েছে। সেখানে তার শ্বশুরের জমি রয়েছে। ওই জমির বিরোধ নিয়ে হত্যার মামলার এক নম্বর আসামি হায়দার আলী ও তার গং বাংলাদেশে ঢুকে আহাদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এও বলেন এস আই ফরহাদ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আহাদ আলীর। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ৫ গজ ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন আহাদকে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় আহাদকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহাদের মৃত্যু হয়।
পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদস্য শাহীন আহমদ জানান, ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর সঙ্গে নিহত আহাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে জায়গা নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে তা আমি স্পষ্টভাবে জানি না।
এ ব্যপারে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।