ঢাকা  বৃহস্পতিবার, ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeবিনোদনকেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে

কেবিনে নেওয়া হয়েছে ফরিদা পারভীনকে

বরেণ্য কন্ঠশিল্পী শিল্পী ফরিদা পারভীনকে গতকাল গভীর রাতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ছেলে ও ব্রাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ইমাম জাফর নূমানী।

ফরিদা পারভীন গত ৫ জুলাই থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে কিডনি রোগ ও শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত এ শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়।
ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে নূমানী বলেন, ‘গতকাল রোববার রাতে মাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে। মা আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি কথাও বলতে পারছেন। ডাক্তার বলেছেন ভিজিটর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অবস্থা আবারও আগের মতই হয়ে যাবে। তিনি যেন সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরতে পারেন-সবার কাছে এ দোয়াই চাইছি।’

’ কবে বাসায় যেতে পারবেন ফরিদা পারভীন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মা এখন অবজারভেশনে রয়েছেন। তাকে কিছুদিন অবজারভেশনে রাখা হয়। তিনি কবে বাসায় যেতে পারবেন তাই এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আরও দুই তিন পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন চিকিৎসকরা।’
অন্যদিকে ফরিদা পারভীনের স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম জাগো জানান, ‘আমি গতকাল দুপুরের দিকে তাকে (ফরিদা পারভীন) আইসিইউতে দেখতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কথাও হয়েছে। অল্প অল্প করে কথা বলতে পারছেন। ক্রমেই তার উন্নতি হচ্ছে। গতকাল রাতে তাকে কেবিনে দেওয়া হয়েছে। আজ আমি তাকে আবার দেখতে যাচ্ছি। এখনে পথেই আছি। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন ফরিদা পারভীন। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। রক্তেও ধরা পড়ে সংক্রমণ। কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যাওয়ায় সপ্তাহে তিন দিন তাকে ডায়ালাইসিস করানো হয়। এ সময় তার চেতনাও কাজ করছিল না। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শিল্পীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড।

ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান তিনি। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে প্লেব্যাকের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এই গুনী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular