নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ ১/গ বড়বাগ, (আজমত গার্মেন্টসের সামনের গলি) এলাকায় নিহত তিন শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ সহায়তা এবং আহত এক আন্দোলনকারীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সহায়তা প্রাপ্ত শহীদ পরিবারের তালিকা: ১. মো. মহিউদ্দিন – নিহত (৪ আগস্ট, মিরপুর থানার সামনে)।২. সাজ্জাদ হোসেন – নিহত (১৯ জুলাই, মিরপুর ১০-এ পুলিশের গুলিতে)।৩. আব্দুল্লাহ কবির – যুবদল নেতা, নিহত (৪ আগস্ট, মিরপুর ১০-এ)।
এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মো. রাফির চিকিৎসায় সহায়তা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিগত সরকারের আমলে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি পরিবার সবসময় আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পাশে থাকবে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবু সায়েম (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা), যুবদল নেতা জগলুল পাশা পাভেল, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল (উপদেষ্টা, আমরা বিএনপি পরিবার-সেল) এবং ফেরদৌসী আহমেদ মিস্টি (যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি)।
রিজভী সরকারের নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, “তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে। সম্প্রতি এক আইনজীবীকে হত্যা এবং আন্দোলন দমন করতে গ্রেপ্তার-হত্যার মতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার মানুষের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জনগণ তাদের ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা কোনো ষড়যন্ত্রকারী শক্তি দমন করতে পারবে না।
আন্দোলনের প্রতিজ্ঞা:তারেক রহমানের বার্তা তুলে ধরে রিজভী বলেন, “বিএনপি পরিবার সবসময় গণতন্ত্র এবং জনগণের পাশে থাকবে। যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারকে আমরা কখনো ভুলব না। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে বিএনপি আন্দোলনে অটুট থাকবে।
এই সহায়তা কার্যক্রম স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।