নিউজ ডেস্ক: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, কমিশন গণমাধ্যমের টেকসই সংস্কারের জন্য কাজ করছে, যা শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় বরং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামোর অংশ হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসারে একযোগে কাজ করছেন এমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জোট হচ্ছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন।
বৃজস্পতিবার ঢাকায় সার্কিট হাউস রোডস্থ তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
কমিশন প্রধান ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের আমলে সংবাদ মাধ্যমের ওপর যেসব অযাচিত আক্রমণ এসেছে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি ভবিষ্যতেও সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের সদস্যদেশগুলোর ঢাকাস্থ দূতাবাসসমূহের প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে গণমাধ্যম সংস্কারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। অপতথ্য ও ভুয়াতথ্য প্রচারের ঝুঁকি মোকাবিলায় কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না সে সম্পর্কে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণমাধ্যম সংস্কারে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে কি না সে সম্পর্কেও তাঁরা জানতে চান।
এসময় কমিশন প্রধান মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিদের জানান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশীজন প্রকাশক, সম্পাদক, সাংবাদিক, বেতার ও টেলিভিশন মালিক এবং সাধারণ জনগণ-দর্শক-শ্রোতা যারা গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট তাদের সাথে আলোচনা করে একটি নির্ভরযোগ্য সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হবে।
সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ-সহ রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণমাধ্যম সম্পর্কিত তাদের পর্যবেক্ষণ এবং সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলের অপর এক সদস্যের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় সরকারি আইন অনুযায়ী বিমা সহায়তা প্রদান করা যায় কি না এ বিষয়ে কমিশন বিবেচনা করছে।
আলোচনা সভায় কমিশন সদস্য শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, ফাহিম আহমেদ, জিমি আমির, জনাব মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের প্রতিনিধিসহ স্টিফেন এফ ইবেলি, মার্কিন দূতাবাস, ঢাকা, ভেনেসা বিউমন্ট, ব্রিটিশ হাই কমিশন, ঢাকা, মিচিকো ইউইডিএ, জাপান দূতাবাস, ঢাকা, লারা অ্যাডামস, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন, ঢাকা, সিওবনান কেন, কানাডিয়ান হাই কমিশন, ঢাকা, পাওলা কাস্ত্রো নেইডারস্ট্যানম সুইডিশ দূতাবাস, ঢাকা, কর স্টৌটেন, নেদারল্যান্ড দূতাবাস, ঢাকা,পালাহোয়ানে, ফ্রান্স দূতাবাস, ঢাকা, আলী সোহেল ইবনে সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।