গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চরআলগী ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা চিনু রানী দাসের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় প্রতিবেশী আনন্দ, সাধন ও স্বপন চন্দ্র। হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয় চিনু রানী দাসের ছেলে সুমন্ত দাস (৩৫) ও তার স্ত্রী সুফলা দাস(৩২)। তাদেরকে বাঁচাতে এলে ছেলে জয় চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। এসময় প্রতিপক্ষরা তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারী প্রতিপক্ষের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে হুমকি দিলে আত্মগোপন করে চিনু রানীর ছেলে সুমন্ত দাস।
পরে ছোট ছেলে হেমন্ত দাস গত ২২ ফেব্রুয়ারী তাকে খুঁজে বের করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এঘটানায় নিন্দা জানিয়েছেন চরআলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলাকারী দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার হোক।
বীর মুক্তিযোদ্ধা চিনু রানী দাস বলেন,হামলার ঘটনায় আমরা ভয়ে আছি, অপরাধীরা মামলা না করতে মোবাইল ফোনে চাপ প্রয়োগ করছে। বাড়িতে এসে শাসিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চিনু রানীর ছেলে হেমন্ত দাস বলেন, গরু,ছাগল চড়িয়ে আমাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে। ইতিপূর্বেও আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।
সেদিন হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বড়ভাই ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করে। এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি। জড়িতদের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’