গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা এলাকায় মাটি কাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মেহেদি হাসান রাকিব (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পাগলা থানা এলাকার তললীগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদি হাসান রাকিব ওই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার ইয়াসিন গ্রুপের সাথে নিহত মেহেদি হাসান রাকিবের পূর্ব বিরোধ চলছিল। সোমবার রাত ১০ টার দিকে দুই পক্ষ মাটি কাটা নিয়ে নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী গ্রামের পল্টন মোড় এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে মেহেদি হাসান রাকিবকে ইয়াসিন গ্রুপের লোকজন পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম সাবিদ(২৫)। তিনি একই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। কোমরে গুলিবিদ্ধ সাবিদকে স্বজনরা চিকিৎসার জন্য প্রথমে পাশ্ববর্তী শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। নিহত মেহেদী হাসান রাকিবের বাবা মজিবর রহমান বলেন, ’আমার ছেলে যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। এর আগেও আওয়ামী লীগের হামলা মামলার শিকার হয়েছে। এখন স্থানীয় ইয়াসিন, ফরিদ ও জিয়া জোরপূর্বক আমাদের খেত থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিল। এতে বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি খুনীদের বিচার চাই।’ পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন,’খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বালু উত্তোলন ও আধিপত্য নিয়ে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’