মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: শেষ হতে যাচ্ছে মিঠামইন হাওড়বাসীর দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ। কিশোরগঞ্জের হাওড়ে মিঠামইনের উত্তরে ঘোড়াউত্রা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে জেলার সবচেয়ে দীর্ঘ পাকা সেতু। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সেতুর ২৫ ভাগ কাজ। নির্মাণ কাজ শেষ হলে জেলা সদর হয়ে সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের পথ সুগম হবে হাওড়বাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায় কিশোরগঞ্জের হাওড়ে ঘোড়াউত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণকে ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ। মিঠামইন উপজেলা সদরের শান্তিপুর ও গোপদিঘী এলাকাকে যুক্ত করে প্রমত্তা ঘোড়াউত্রার বুকে গড়ে উঠছে এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ পাকা সেতু। নদীর দুই তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করছে জেলার সবচেযে দীর্ঘ এই সেতু। ঘোড়াউত্রা নদীতে সেতু না থাকায় যুগের পর যুগ হাওড় জনপদের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। নৌকায় নদী পার হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ করতে হতো হাজার হাজার পর্যটকসহ হাওড়বাসীকে। এমন বিড়ম্বনা দূর করতে মিঠামইন উপজেলা সদরের ঘোড়াউত্রা নদীর দক্ষিণ পাশ থেকে নদীর উত্তর পাড় গোপদিঘী পর্যন্ত পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওড়ে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে, গতি আসবে অর্থনীতিতে, সেই সাথে বাড়বে জীবনযাত্রার মান। দ্রæত গতিতে চলছে ব্রিজের নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে ১৭৪টি পাইল নির্মাণসহ সেতুর ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার দুই মিটার দীর্ঘ ( ১.২ কি.মি.) সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেক্স গ্রুপের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ও রবিউল হাসান জানান, সেতু নির্মানের মেয়াদকাল ৩ বছর। ২০২২ সালের ১৬ই নভেম্বর সেতুর কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম জানান, দ্রুত গতিতে সেতুর কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।