মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : টানা ২১ দিন বন্ধ থাকার পর ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। প্রথম চালানে ৭০ টন মাছ রপ্তানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে মঙ্গলবার জারা এন্টারপ্রাইজের নয়টি ট্রাকে বিভিন্ন প্রজাতির ৬৭ টন মাছ এবং সুমন খান নামে এক ব্যবসায়ীর একটি ট্রাকে ৩ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরায় রপ্তানি করা হয়।
জানা যায়, ২৭ নভেম্বর চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে রপ্তানির জন্য আসা ৬ ট্রাক মাছ ত্রিপুরার কৈলা শহরের মনু শুল্ক স্টেশনে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দু’দিন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের মাছ রপ্তানি করতে পারেননি।
সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে গত ২৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশি মাছের চালান ভারতীয় শুল্ক স্টেশনে যেতে পারেনি। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তক্রমে ২১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরায় আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।’
ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর ভারতীয় ইসকন কর্মী ও সমর্থকদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে ২৭ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের আমদানি-রপ্তানিকারক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘টানা ২১ দিন এই পথে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার দুপুরে ৯টি ট্রাকে ত্রিপুরায় ৬৭ টন মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। সুমন খান নামে আরও এক ব্যবসায়ীর ৩ টন মাছ রপ্তানি হয়েছে।
শুল্ক স্টেশনের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে গত ২৭ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশি মাছের চালান ভারতীয় শুল্ক স্টেশনে যেতে পারেনি। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তক্রমে ২১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে।