সুমন দত্ত: মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় মৃত নারীকে জীবিত দেখিয়ে দলিল সম্পাদন, সিআইডির প্রতিবেদন ও ভুক্তভোগীদের প্রতিকার দাবি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোহাম্মাদ বাইজিদ হোসাইন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ ২০২৫ ইং) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বক্তব্য রাখেন তিনি। এরআগে একই স্থানে গত ২ মার্চ রবিবার তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন নামে অপর এক ব্যক্তি।
বাইজিদ বলেন, আমি এবং আমার ব্যসবায়ী অংশিদাররা মিরপুর ইস্টার্ন হাইজিং এলাকার ব্লক: এন, রোড: ৩, প্লট নং ৯১ ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে ভোগদখল করে আসছি। গত ১৯/২/২০২৫ তারিখে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নিজাম সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিটি দখলের পায়তারা করেন। ঘটনা জানতে পেরে আমি ৯৯৯ লাইনে ফোন দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্রয় নেই।
সেদিন পল্লবী থানার পুলিশ সদস্য মো. আবু সামাদ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম ক্যাপ্টিন শাহাদাৎ ও কর্নেল জাকারিয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কর্নেল জাকারিয়া উভয়ের উদ্দেশে বলেন, এই জমিতে মামলা চলমান রয়েছে। তাই আদেশ না আসা পর্যন্ত এখানে কেউ ঝুট-ঝামেলা সৃষ্টি করবেন না।
এশিয়ান টিভিতে সরেজমিনে ঘটনা বর্ণনা করে একটি নিউজও প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২ মার্চ ২০২৫ তারিখে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার বিরুদ্ধে কতকগুলো মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেন।
সেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন যে, আমি রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং তিনি নাকি আমাদের উল্লেখিত জমিটিতে দখলে ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কখনোই আমাদের জমিটিতে দখলে ছিলেন না।
ইস্টার্ন হাউজিংয়ের পল্লবীর ২য় পর্বের লে-আউটভুক্ত জমিটি আমার ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কাছ থেকেই কিনেছি এবং জমিটি ইস্টার্ন হাউজিংয়ের দখলেই ছিল।
যা ক্রয়সূত্রে এখন আমাদের দখলেই রয়েছে। মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি আরও বলতে চাই, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই।
আমি ছোটখাটো ব্যবসায়ী, ব্যবসার প্রয়োজনেই সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তেমনি ভাবে জাহাঙ্গির হোসেন ও পাশেই ৭.৫০ কাঠা উপরে দশ তলা একটি বিল্ডিং করে, ৪ কাঠার টিন সেড একটি মার্কেট করেন মিরপুর সি ব্লক ৪/৫ নাম্বার বাসার ২টি ফ্লাট ক্রয় করেন এ ব্লক একটি বাড়ি দখল করে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন যে নামজারি থাকার দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মিরপুর ভূমি অফিসে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সৃষ্ট একটি মিস কেসের শুনানি অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই এর রায় পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরো বলেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নূরজাহান বেগম নামের এক নারীর কাছ থেকে ২০১৮ সালে জমি ক্রয়ের দাবি করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জমির খতিয়ানে যে নূরজাহান বেগমের নাম আছে তিনি ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তিনি যতটুকু জমি পেতেন,দলিল নং ৫৪৬১ তা ১৯৯৮ সালে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন।