শেরপুর প্রতিনিধি: পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার তৈরী ও এর গুণাগুনসহ পুষ্টি বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিনব্যাপী এক ব্যতিক্রমী পুষ্টি মেলা ও শিখন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ মেলায় প্রধান ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল। মেলা উপলক্ষে একটি বর্ণ্যাঢ্য র্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মেলায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ ও শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় আরএমটিপি প্রকল্পের সচেতনতা ও শিখন কার্যক্রমের আওতায় পিদিম ফাউন্ডেশন এই পুষ্টি মেলা বাস্তবায়ন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিদিম ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ শোভন। এতে বক্তব্য দেন সংস্থার সিনিয়র পরিচালক (ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রজেক্ট) মো. হুমায়ুন কবীর সেলিম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) পুষ্টি বিশেষজ্ঞ কফিল কুমার পাল, ঝিনাইগাতী সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সৈয়দ আলী খান প্রমুখ।
পরে মেলায় সচেতনতামূলক মেডিক্যাল ক্যাম্প, পুষ্টিবিদ, কৃষি, ভিটামিন, খনিজ, রান্নার কৌশল প্রর্দশনী, ওয়াস, বসতবাড়ী বাগানের মডেলসহ ১০টি স্টলের মাধ্যমে শিশু, অভিভাবক ও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া হয়। পরে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে পুষ্টিবিষয়ক এক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া মেলায় আগত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষধ প্রদান করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঢাকা থেকে আগত প্রয়াস শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীদের পুষ্টি ও সচেতনতামূলক নাটকের পরিবেশনা।
মেলার আয়োজকরা জানান, এই মেলার উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জনগণের মধ্যে পুষ্টি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে দেয়া, পুষ্টি সম্পর্কে ভুল ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য অভ্যাস ও কুসংস্কার সম্পর্কে জ্ঞান দান, সুষম খাবার কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এ সম্পর্কে জনগণকে ধারণা দেয়া এবং বিভিন্ন বয়সের পুষ্টি চাহিদা সম্পর্কে অবগত করা। বাড়ন্ত শিশুদের খাদ্যের ধরণ ও স্বাস্থ্যকর স্কুল টিফিন সম্পর্কে সচেতন করাসহ জনগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো বলেও জানান আয়োজকরা।প্রতিবছরই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ মেলার আয়োজন অব্যাহত রাখতে আয়োজকদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন দর্শনার্থীরা।