জামালপুর প্রতিনিধি: ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষে জামালপুর তিরুথা সত্যপীর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারুণ্যমেলা ও অভিভাবক সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত হয় তিরুথা সত্যপীর উচ্চবিদ্যালয়ে।সহযোগিতা করে জামালপুর জেলা প্রশাসন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।এতে সভাপতিত্ব করেন তিরুথা সত্যপীর উচ্চবিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান লেবু। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকী, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়বুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সিদ্দিকুর রহমান। সভায় ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সহস্রাধিক তরুন-তরুনী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে তারুণ্যের জাগরণ আর শক্তির প্রকাশ ঘটাতে হবে। তিনি তিরুথা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রশংসা করে বলেন এ ধরণের আয়োজন সকলকে উৎসাহিত করবে। জেলা প্রশাসক তারুণ্য উৎসবের পরিকল্পনা তুলে ধরে ৫০ দিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, বিদ্যালয় একটি পবিত্র স্থান। এর প্রতি সকলের আগ্রহ, আন্তরিকতা প্রকাশ ঘটাতে হবে। মায়া তৈরি করতে করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটাতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অধিক সচেতন হতে হবে। সন্ধ্যায় ও সকালে সন্তানের পড়ার টেবিলের পাশে বসতে হবে।
সভায় শিক্ষার্থীদের তৈরি হরেক রকম পিঠার পাঁচটি স্টল স্থান পায়। এছাড়া বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সৃষ্টিকর্ম হিসেবে চিত্রাঙ্কন, কবিতা, ছড়া, গল্প প্রদর্শিত হয়। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ৬ ওভারের ক্রিকেট ম্যাচ । দিনভর তারুণ্যমেলাকে কেন্দ্র করে তিরুথা, রামনগর, ধোপাকুড়ি, তেতুলিয়া ও বামুনপাড়া এলাকায় অন্যরকম এক উৎসবের আবহ তৈরি হয়।