নিউজ ডেস্ক : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার অন্যায়ের প্রতিবাদে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে দেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিজয়নগরে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনার পর
জিএম কাদের বলেন, এখন কয়েকটি গোষ্ঠী তাদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে ব্র্যান্ডিং করতে চাচ্ছে। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার সব অপকর্মের সঙ্গে তারা আছেন। কিন্তু না, তারা ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তাই বলে তারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগীদার হবেন কেন?
তিনি বলেন, মহাজোটের অংশ হয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জেতার পর তাকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ওই সময় হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগপত্রও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে পদত্যাগ করতে দেয়া হয়নি।
জিএম কাদের বলেন, ‘সেই সময় আমি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলাম। হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আমি সঠিক ছিলাম। যার কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে দেয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
২০২৪ সালে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েই কি বৈধতা দেয়া হয়ে যায়? ২০২৪ সালে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচনে নিয়ে আসা হয়েছিল। শুধু জাতীয় পার্টি একা নয়, সব দলই কোন না কোন সময় স্বৈরাচারের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে৷
তিনি বলেন, এরশাদ গণ আন্দোলনে পালাননি। তিনি পরের সব নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে জাতীয় পার্টিকে শেষ করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, গত কিছুদিন ধরে একটা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলটিকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর বলে নানা অপ্রচার করছে। ‘আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার এলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা এখনও চলছে। প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে কোনো প্রতিবাদ না করায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম মানেই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলাম না।’