নীলফামারী প্রতিনিধি : দেশের বৃহত্তম নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পদন্নোতি প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে পহেলা মার্চ থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করবেন বলে জানান তারা।
বুধবার দুপুরে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী সমন্বয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে মানববন্ধনে কারখানার বিভিন্ন সপের (উপকারখানা) শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য দেন রেলওয়ে কারখানার যান্ত্রিক বিভাগের কর্মচারী মো. একরাম উদ্দিন , মো. মমিনুল ইসলাম , মো. ইমরুল সিকদার, মো. খায়রুল বাশার, আখতারুল ইসলাম, পারভেজ রানা, হামিদুর রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৩ বছর পর পর পদোন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের পদোন্নতি দেয়া হয়নি। অথচ শত শত পদ শূন্য রয়েছে। এসব পদে পদায়িত না করেই বিভিন্ন গ্রেডের কর্মচারীদের দিয়ে উচ্চপদের কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পদ খালি না থাকলেও একই বিধি অনুয়ায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে একই দিনে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ৩-৪ বার পদোন্নতি পাইলেও একজন কর্মচারী একবারও পায়নি। এতে শত শত পদধারী শ্রমিক কর্মচারীরা সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি কিছু পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অর্থাৎ একইসাথে যোগদানকারী সবাই এই পদোন্নতি পাচ্ছেন না। অর্থাৎ কেউ পাবেন, কেউ পাবেন না। আর একেবারে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে ব্লাক স্মিথি, ক্রেন ড্রাইভার, পেটার্ন মেকার, উড মেকার, টিন স্মিথি, ফার্নিস ম্যান ও কোর মেকার পদে কর্মরতদের। বক্তারা এসব পদসহ সকল পদে শতভাগ পদোন্নতি দাবি করেন। বিশেষ করে যাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির মেয়াদ দীর্ঘ দিন আগেই পেরিয়ে গেছে তাদের আগে দিতে হবে। একই সাথে দাবি করা হয় যে, খালাসি পদের নাম পরিবর্তন করাসহ ভাতা প্রদানে যে বৈষম্য আছে তা দূর করতে হবে। সেইসাথে ১৯৮৫ ও ২০২০ সালের আত্মঘাতী নিয়োগবিধি বাতিল করতে হবে।