নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সুদৃষ্ট কথা কেউ বলছেন না, ‘সংস্কারেরও কোনো শেষ নেই। দেশের সব সমস্যা সমাধান করবে রাজনীতিবিদরাই। কিন্তু যারা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে তারা যদি মনে করে তারাই সব, তাহলে কীভাবে হবে? তাহলে জাতীয় এই ঐক্য ধরে রাখতে পারবে কতক্ষণ? জাতীয় ঐক্য তখনই হয় একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মতামত প্রকাশের মাধ্যমে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বই প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে ‘বিজয়ের ৫৩ বছর : আমাদের অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি।
গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝে, তাহলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক মুখোমুখি দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, ‘ছোট বড় দেশ বলে কোনো কথা নাই। প্রতিটা দেশই কারও না কারও ওপর নির্ভরশীল। যুক্তরাষ্ট্র এত বড় একটা দেশ তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোনো কারখানা নেই। কিন্তু পোশাকের জন্য বাংলাদেশ-ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। সুতরাং ভারত যে কাজটা করছে, তারা নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারছে।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরা তো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা ও এলসি যদি বন্ধ থাকে তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না। মোদি ও সোনিয়া গান্ধীও ঠেকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আজকে ভারত নেপাল, মালদ্বীপ ও ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদের ভাবতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে। কোনো দেশই ভারতের সঙ্গে আপস করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মতো হয়ে গেছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখনে বিএনপি চেয়ারপারসেনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো জহিরুল ইসলাম কলিম প্রমুখ।