নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ও দক্ষিণ হামছাদী এলাকায় জুড়ে পড়ে রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি ও তার। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দ্বারস্থ হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুরে পল্লী বিদ্যুতের ১০টি ও বেশি হেলানো খুঁটির ভয়ে পাঁচ বছর যাবত চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে ৩০ একর জমি। অন্যদিকে একই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে ভয় করছেন ছাত্রছাত্রীরা। স্থানীয়রাও রয়েছেন ভয়ে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ও উত্তর হামছাদী গিয়ে দেখা মিলে অনেকের ঘরের চালের উপরে পড়ে রয়েছে বিদ্যুৎতের তার। এ নিয়ে রাতে ঘুমাতে পাচ্ছে না ছেলেমেয়েদের নিয়ে এ পরিবার।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ি এমন ঘটনা ঘটেছে। মরিয়ম বেগম (৫০) উত্তর হামছাদী গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার বিকেলে তিনি জানান, উত্তর হামছাদী প্রায় ত্রিশ একরের এ মাঠে গত ৫ বছর আগেও চাষাবাদ হতো। কিন্ত এখন হয় না। কৃষকরা এ মাঠে আসে না ভয়ে। এ জমিগুলোর ওপর দিয়ে গ্রামবাসীদের সরবরাহের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ ১১ হাজার ভোল্টের ৪ তারের লাইন টেনে রেখেছে। জমির সীমানার মধ্যে ১০টি ও বেশি পিলার গত ৫ বছর আগে হেলে পড়ে। এতে স্থানীয়রা অভিযোগ করলে পল্লী বিদ্যুৎ খুঁটিগুলো সোজা না করে আরো ২০টি ছোট খুঁটি এনে বড় খুঁটিগুলোকে হেলান দিয়ে রাখে। ফলে কৃষি জমির পরিমাণ আরো কমে যায়। এখন সবগুলো হেলানো খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
জাকির হোসেন নামের একজন গ্রামবাসী জানান, পাঁচ বছর ধরে খুঁটির ভয়ে জমিতে চাষাবাদ করতে নামছেন না কেউই। ফলে তার জমি এখন চাষ করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিউল আলম বলেন, এ বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনেছি। এ বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা হবে।