নিউজ ডেস্ক: পহেলা বৈশাখের সময় জাটকা অবস্থায় থাকার কারণে এ সময় ইলিশ না খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।সোমবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ- ২০২৫’ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা জানান উপদেষ্টা। এ সময় জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ বছর প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১১ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ইলিশের জাটকা যেন নিরাপদে বাড়তে পারে, সেজন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস দেশব্যাপী জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান অন্তরায় হচ্ছে কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জালসহ অন্যান্য অবৈধ জাল ব্যবহার। এসব জালের ব্যবহার বন্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে বিশেষ চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।এ সময় পহেলা বৈশাখে পান্থা ইলিশে না খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে যে ইলিশ থাকবে, সেটি জাটকা ইলিশ হিসেবে গণ্য হবে। এটি না খাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। মা ইলিশ এবং জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জীবনধারণের জন্য প্রতিবছর ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা চাহিদামাফিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-২০২৩ এর ৩(১) বিধি অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (কাঁকড়া, চিংড়ি ইত্যাদি) নিষিদ্ধ থাকে। এতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে বলে সরকারি তথ্যে জানা গেছে।
ঢাকা নিউজ/ এস