বখতিয়ার রহমান, পীরগঞ্জ(রংপুর): রংপুরের পীরগঞ্জে গ্রীষ্মের রুক্ষতা ও তাপদাহ উপেক্ষা করে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজ সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত হয়েছে একাধিক কৃষ্ণচূড়ার বৃক্ষ। বৃক্ষ গুলি যেন সবুজের বুক চিরে রক্তলাল পাঁপড়ি মেলে ধরেছে নিজেকে । প্রকৃতির সবুজের মাঝে এ যেন বৃক্ষটির প্রেমপত্র। এমনি বেশ ক’টি বৃক্ষ শোভা পাছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি,পীরগঞ্জ-খালাশপীর এবং পীরগঞ্জ-মাদারগঞ্জ রাস্তার পার্শে ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা উল্লেখিত স্থান ছাড়াও বড় আলমপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর (ফতেপুর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠজুড়ে কৃষ্ণচূড়ার গাছে গুচ্ছাকারে রক্তিম ফুল ফুটে আছে। সবুজ পটভূমিতে রক্তলালের অনবদ্য সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে এক অপার সৌন্দর্যের দৃশ্যপট। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন কোনো লালচে পেখম মেলে দিয়েছে প্রকৃতির এক বিশালাকৃতির পাখি।
ফুল প্রেমী স্থানীয় যুবক যুবতী খাদিজা, রোমানা, সুলতানা, মেহেদী, তাহাজুল ও মাজেদুল জানান, দূর থেকেই কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য নজরে পড়ে। বন্ধুবান্ধব নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে তারা আনন্দিত। তাদের মতে, কাছ থেকে না দেখলে এই ফুলের রঙ ও রূপ একেবারেই অনুভব করা যেত না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়ার রঙিন আবির্ভাব প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ গাছের চারা রোপণ করা হয়। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙে জাতভেদে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায় কিছু হালকা লাল, আবার কিছু ফুল হয় হালকা হলদে আভাযুক্ত। ফুল ফোটার সময় একে একে থোকা থোকা ফুল গাছের ডালে ফুটে ওঠে এবং প্রকৃতির মাঝে সৌন্দর্যের এক ব্যতিক্রমী উপস্থাপন ঘটে। তাই তিনি পরিবেশবান্ধব এই বৃক্ষের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন জাতের ফুল ও ছায়াদানকারী গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন । যেন প্রকৃতি থাকে প্রাণবন্ত ও জীবন্ত ।