পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ আবু সাঈদের (১৬ জুলাই) প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঢল নেমেছিল পীরগঞ্জের শহীদ আবু সাঈদের সমাধীস্থল বাবনপুরে ।
১৬ জুলাই সকালে রংপুর বেগম রোকেয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকত আলী ও রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল
রংপুরের পীরগঞ্জে বাবুনপুর গ্রামে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন। এ সময় পীরগঞ্জ উপজেল ানির্বাহী কর্মকর্তা খাদিজা বেগম, বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আবু সাঈদের কবর জেয়ারত করেছেন রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদলের কেন্দ্রিয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সহ কেন্দ্রিয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ, জেলা জামায়াতের সুরা সদস্য অধ্যক্ষ নুরুল আমিন সহ জেলা ও উপজেলা জামায়েতের নেতৃবৃন্দ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্ময়কারী জুনায়েদ সাকি সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ । তারা শহীদ আবু সাঈদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেন ।
সে সময় বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি ড. শওকত আলী বলেন, শহীদ আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন- তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। দেশের নতুন প্রজন্মের জন্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে উঠেছেন বেরোবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
রংপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, আবু সাঈদ শুধু পীরগঞ্জ নয় । দেশের গর্ব । তার সাহসিকতায় জুলাই আন্দোলনের নুতন মাত্রা যোগ হয় এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয় । আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, আবু সাঈদের জন্য বিগত সরকার পতন হয়ে গেল । আমার বাড়িতে আজ কেউ নাই। সবাইকে রংপুরে নিয়ে গেছে। আমি যাইনাই। আমার আবু সাঈদকে রেখে আমি কোথাও যাবোনা। আমার আবু সাঈদ এখানেআছে। তাই আমি এখানেই থাকবো।