আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পর এবার জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনালাপ বেশ ভালো হয়েছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আলোচনায় জেলেনস্কির কাছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। কিয়েভে বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ভূমিকা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে এই ফোনালাপের মধ্যেই ইউক্রেনের রেলওয়ের জ্বালানি অবকাঠামোতে ভয়াবহ রুশ বোমা হামলায় চার কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেন ট্রাম্প। আলাপে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ও ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। তবে পুতিন কেবল ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর আক্রমণ বন্ধ করতে সম্মত হন।
পরদিন বুধবার (১৯ মার্চ) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি জানান, আগের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর এবারের আলোচনা বেশ ভালো হয়েছে। রুশ-ইউক্রেন ইস্যুতে সঠিক পথেই এগোচ্ছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের কী বিষয়ে কথা হয়েছে, তা নিয়েই মূলত কথা বলেছেন দুই নেতা। আরও জানানো হয়, জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ভূমিকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার মাধ্যমে ইউক্রেনের অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপকে ইতিবাচক ও খোলামেলা বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তিনি ট্রাম্পকে রুশ অবকাঠামোর ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য কিয়েভের প্রস্তুতি ও যুদ্ধবিরতির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন।
ট্রাম্প-জেলেনস্কির ফোনালাপের পরই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের ঘোষণা আসে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ১৭৫ ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তি দিয়েছে। এর বদলে মস্কোও ফিরিয়ে এনেছে সমান সংখ্যক রুশ সেনা।
তথ্য : রয়টার্স ও বিবিসি