কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অবিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের জহুরুল হকের পুত্র ধর্ষক মইনুল হক (২২) ওই মহিলাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাস যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভুক্তভোগী ওই মহিলা উপজেলার বড়লই এলাকায় তার দুলাভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যান। সেই সুবাদে ধর্ষক মইনুল হক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই মহিলাকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে রাজি হলে ধর্ষক মইনুল হক তার সহযোগী হাসানুল হককে মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে আনার জন্য পাঠিয়ে দেন। সহযোগীর মোটরসাইকেলে চড়ে উপজেলার চরবড়লই বাজারে ওই নারী আসলে একটি ইউক্লিপটাস বাগানে ধর্ষক ও তার সহযোগী দুজনে মিলে রাত সাড়ে দশটার দিকে ধর্ষণ করেন।পরে তারা ওই নারীকে একটি অটোরিক্সায় উঠিয়ে তার দুলাভাইয়ের বাসা পাঠিয়ে দেন।
ওই নারী তার দুলাভাইয়ের বাসায় আসার পথে বাংলাবাজার মোড়ের মধ্যে ওঁৎ পেতে থাকা ধর্ষক ইয়াকুব আলী (২৫), লাল মিয়া (৪০), আতিয়া রহমান (৩৫) অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই মহিলাকে আবারো ধর্ষণ করেন।
পরে এ ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী মহিলা ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তারই প্রেক্ষিতে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে ঐ পাঁচ ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।