নিউজ ডেস্ক: শহীদ ডা. মিলন দিবসে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভা দলের সভাপতি জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন গণফোরামের এমিরেটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন, আলোচনায় অংশ নেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হক প্রধান, বিএনপি’র সহ-সভাপতি জনাব জহিরুদ্দীন স্বপন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা মিজানুর রহমান, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সর্বজনাব মুশতাক হোসেন, করিম সিকদার, মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব, রোকনুজ্জাম রোকন, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি আবদুস সালাম খোকন, জাতীয় যুব জোট সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব মনজুর আহমেদ মনজু।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. কামাল হোসেন বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য এবং রুগ্ন রাজনীতির কারণে মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় অচিরেই। ডা. মিলন, নূর হোসেন সহ ‘২৪এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতা যে কারণে জীবন দিয়েছেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সে আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, মিলন হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু হত্যাকারীর শাস্তি হয়নি। মিলন হত্যার বিচার হলে ‘২৪এ জুলাই-আগস্টে ক্ষমতাসীনরা সহস্রাধিক ছাত্র জনতাকে হত্যা করার সাহস পেত না। জনগণ ও রাজনৈতিক দলসমুহ সরকারকে সহযোগিতা করতে চাইলেও সরকার তা গ্রহণ করতে পারছে না। সরকারের জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে অবিলম্বে নির্বাচনে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। এই মুহুর্তে জনগণ গণতন্ত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চায়। আমাদের সেইভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।