সুমন দত্ত: ২.৫ পারসেন্ট ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে পুরান ঢাকার নবাবপুর ও ধোলাইখালের ব্যবসায়ীরা দুই ঘণ্টা মানববন্ধন করেছে। বৈষম্যমূলক করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেয় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক সহিদুল হক মোল্লা, সংগঠনটির সদস্য সচিব শহীদুল হক সহীদ, যুগ্ম সদস্য সচিব শহীদুল হক স্বপন, মো. মনির হোসেনসহ কয়েক হাজার ব্যবসায়ী।
সহিদুল হক মোল্লা বলেন, প্রায় চল্লিশটি বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার ব্যবসায়ী শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে। সবার দাবি একটাই বর্ধিত ২.৫০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, একদিকে, লাগামহীন ব্যাংক সুদ, এলসি জটিলতা, ডলার সংকট অন্যদিকে ভ্যাট ও কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আশ্বাস দেওয়ার পরও এসআরও জারি করা হচ্ছে না।
দ্রুত এসআরও জারি করে ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেক ব্যবসায়ী এখন কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার জন্য বলছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি বাণিজ্য সংগঠনের দাবির মুখে ভ্যাট সাড়ে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সংগঠনটির সদস্য সচিব শহীদুল হক সহীদ বলেন, ৭.৫০ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই আমরা বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। আশা করছি, দ্রুত এনবিআর ভ্যাট কমিয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এদিকে, মানবন্ধন কমসূচিতে আগামী সাতদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের এসআরও (প্রজ্ঞাপন) জারি করার দাবি জানিয়েছে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা।
অন্যথায় আরও কঠোর কমসূচি দেওয়ার কথা জানানো হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা বক্তব্যে বলেন, দাবি পূরণ না হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাও করার মতো কর্মসূচি দিতে তাঁরা বাধ্য হবেন।
এদিন দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধ রেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালন করে। তাঁরা অত্যাবশকীয় কৃষি ও শিল্প-কারখানার ব্যবহৃত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের সব পর্যায়ে আরোপিত বর্ধিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।