ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসর্বশেষবাগেরহাটে ব্রি ধান ১০২ ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস

বাগেরহাটে ব্রি ধান ১০২ ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাটে ব্রি ধান ১০২ ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ব্রি) গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়ার চামারিয়া গাছতলায় এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ ব্রি কার্যালয়ের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমেনা খাতুন। বিশেষ াতিথি ছিলেন ব্রি গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রোমেল বিশ্বাস, উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হুমায়ুন কবীর। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল পালের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার পাল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, কৃষক আরব আলী প্রমূখ।

কৃষক আরব আলী জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে বানিজ্যিকভাবে ব্রি-১০২ ধান চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। অন্য ধানের তুলনায় অনেক বেশী ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ সকল ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন। তিনি ধান ও চাল বিক্রির পাশাপাশি বীজ সংরক্ষণ করবেন।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ পাল ও কানিজ ফাতেমা জানান, পার্টনার (ব্রি অঙ্গ) প্রকল্পের আওতায় কৃষক আরব আলী ব্রি ধান ১০২ ধানের চাষ করেছে। তাকে কৃষি বিভাগ ধানের বীজ, কিটনাশক, বালইনাশক প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন জানান, কৃষক আরব আলীর ধান ক্ষেত থেকে নমূনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে বিঘা প্রতি ৪১মন ধান উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রথমবার বানিজ্যিকভাবে উচ্চফলনশীল ব্রি ধান-১০২ চাষ করেছেন ৫০জন কৃষক। মোট ৪৫ একর জমিতে এই ধান চাষ করা হয়েছে। এই ধানে জিংকের পরিমান রয়েছে ২৫.৫ মি. গ্রাম। ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে।

কৃষকরা সাফল্য হয়েছে। অন্য ধানের পাশাপাশি কৃষকরা এই ধান চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। কৃষি বিভাগ বলছেন নতুন জাত এই ধান দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এসব কৃষককে সবধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জ ব্রি কার্যালয়ের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমেনা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রি-১০২ জাতের নতুন ধান খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষিতে বিপ্লব ঘটাবে। এরই মধ্যে ধানটির বানিজ্যিভাবে চাষে মিলেছে সাফল্য। আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট রয়েছে এই ধানে। এর চাল গুলো লম্বা, চিকন ও সাদা। চালে জিংক রয়েছে। তিনি সকলকে ব্রি-ধান ১০২ চাষ করার পরামর্শ দেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular