ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeজাতীয়বিচারবিভাগকে স্বাধীন করার প্রস্তাব এসেছে: প্রেস সচিব

বিচারবিভাগকে স্বাধীন করার প্রস্তাব এসেছে: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:  প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে বিচারবিভাগকে স্বাধীন ও কার্যকর করার প্রস্তাব এসেছে। বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, আগের সরকারগুলো বারবার বলেছে যে, বাংলাদেশের বিচারবিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বিচারবিভাগ কখনোই স্বাধীন ছিল না। এজন্য কমিশন বলেছে, বিচারবিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীন ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করতে হবে। এটি ৩৫২ পৃষ্ঠার একটি বড় রিপোর্ট।

তিনি বলেন, লিগ্যাল সার্ভিসে স্বচ্ছতা আনার জন্য জাজ অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যাপারে নতুন কিছু রিকমেন্ডেশন দিয়েছে কমিশন। তার আলোকে কিন্তু কাজও হয়েছে। জাজ এপয়েন্টমেন্টের ব্যাপারে নতুন নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। আরেকটা ছিল অ্যাটর্নি সার্ভিস স্থায়ী করার বিষয়। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। সারা দেশে ৪০০০ এর মতো পাবলিক প্রসিকিউটর থাকে। সরকার তাদের নিয়োগ দেয়। দেখা গেছে, সরকারগুলো তাদের কাছাকাছি যারা, তাদের মধ্য থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টটা করা হতো। দেখা যেত এই সরকার এলে তার মতো করে প্রসিকিউটর নিয়োগ করে, আবার আরেক সরকার তার মতো করে প্রস্তুত নিয়োগ দেয়। এই কথাটাকে বাদ দিয়ে একটা স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট হবে, যেভাবে বিসিএসে হয়।

স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, কমিশন স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা জানিয়েছেন। যেগুলো সাধারণত পুলিশ তদন্ত করে সেগুলো গভর্মেন্ট পলিটিক্যালি ব্যবহার করে। ফলে যে তদন্তগুলো হয় সেগুলো পলিটিক্যাল মাস্টারকে হ্যাপি করার জন্য। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের কেসগুলো কীভাবে কলুষিত হয়েছে পুলিশের তদন্তের কারণে। পুলিশের তদন্তগুলো ফলটি এবং ম্যানুপুলেট করা যায়। এজন্য তারা স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থার কথা বলেছেন।

প্রেস সচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চগুলো ডিভিশনে সেটআপ করার জন্য বলেছেন তারা। কারণ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে। স্বাধীনতার পর আমাদের হাইকোর্ট যেখানে ছিল, এখনো সেখানেই আছে। এজন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে ডিভিশনে নেওয়ার কথা বলেছে। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টগুলো উপজেলা পর্যন্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য যে লিগাল এইড সার্ভিস দেওয়া হয়, সেটি আরও বৃদ্ধি করে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায় অবস্থা কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া কোর্টের ভেতর আইনজীবীরা যে পলিটিক্স করেন, সে বিষয়ে একটা নীতিমালা দেওয়া হচ্ছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular