নিজস্ব প্রতিবেদক: দাবি আদায় না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের আন্দোলনরত শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এসময় বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সাথে আরো চারটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারে ভাংচুর চালায়। ঘটনায় পথচারী সহ স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বুধবার বিকারে শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী ও মুজারমিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ারসার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরআগে গতকাল মঙ্গলবার শ্রমিকদের এক গণসমাবেশ থেকে আজকে বিকাল ৩ টার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, পূর্ব ঘোষণা অনু্যায়ী বুধবার বিকালে আশুলিয়ার শ্রীপুরস্থ সানসিটি মাঠে শ্রমিকরা জড় হয়। তাদের দাবী আদায়ের আল্টিমেটাম ছিল তিনটা পর্যন্ত। পরে তাদের কোন দাবীন না মানায় প্রায় ৪/৫ হাজার শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে উঠে অবরোধ শুরু করে। এতে ওই মহাসড়কের উভয় পাশে পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকরা মহাসড়কে থাকা যানবাহনে ভাংচুর শুরু করে। একপর্যায়ে তিনটি যাত্রীবাহী বাসে ও একটি মালবাহী ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। সেই সাথে আর চারটি বাস ও একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সড়িয় দেয়। পরে শ্রমিকদের অপর একটি গ্রুপ প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর মালিকানাধীন গ্রামীন ফেব্রিকস এন্ড ফ্যাশনের প্রধান ফটক ভাংচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, গাড়ীতে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। বাসসহ কয়েকটি ট্রাকে তারা আগুন দেয়। তবে ট্রাকে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফিরছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গণ অভ্যুত্থানের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মালিক সালমান এফ রহমান গ্রেফতার হওয়ার পরেই বেক্সিমকোর প্রায় ১৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়া, বকেয়া বেতন ও ব্যাংকিং সুবিধা সহ নানা দাবী জানিয়ে প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী আন্দোলন করে যাচ্ছে।