ঢাকা  মঙ্গলবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
Homeসারাদেশনোয়াখালীবেগমগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা, ভাঙচুর

বেগমগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক:  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছেলের ফেসবুকে লাইভ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মফিজুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কুরি পাড়ার শ্মশান রোডের বিএনপি নেতা দিপুর বাড়িতে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মফিজুর রহমান উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি। সম্প্রতি তাঁর বড় ছেলে দাউদ উর রহমানকে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত রোববার রাত ৮টার দিকে দাউদ উর রহমান ফেসবুক লাইভে এসে নাম না করে বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় নেতার চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ওই লাইভের সূত্র ধরেই মফিজুরের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

হামলার শিকার মফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ছেলের ফেসবুক লাইভ শেষ হলে একই দিন রাত ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস তাঁর মুঠোফোনে ফোন করে ছেলের ফেসবুক লাইভ মুছে দিতে বলেন। এরপর গত সোমবার রাত ১০টার দিকে একদল যুবক তাঁর বাড়ির আশপাশে মহড়া দেন। স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে তাঁরা তাঁর ছেলেকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তাঁর ছেলে বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

মফিজুর রহমানের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালান। ওই সময় তাঁরা তাঁর বসতঘরের দরজা-জানালা, তিনটি মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় তাঁর ছেলে দাউদ, স্ত্রী পারভীনসহ পরিবারের পাঁচজন আহত হয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস বলেন, তিনি বিএনপি নেতা মফিজুর রহমানকে ফোন করেননি কিংবা কোনো ধরনের হুমকিও দেননি। তাঁর (বিএনপি নেতা মফিজুর) ছেলে ছাত্রদলের সদস্যসচিব দাউদ ইসলামকে মাদক সেবন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের কারণে চার মাস আগে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ কারণে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের ঘর ভাঙচুর করে মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছেন।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটা মনে হয় তাদের দলীয় কোন্দল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular