ঢাকা  সোমবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ; ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ          সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

spot_img
HomeUncategorizedবেরাইদ এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে ডিএনসিসি প্রশাসক

বেরাইদ এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে ডিএনসিসি প্রশাসক

নিউজ ডেস্ক: ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেরাইদ এলাকায় ৭ কি.মি. রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে, আরও ১৯ কি.মি. রাস্তার কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে ৪২নং ওয়ার্ডের (বেরাইদ ও আশেপাশে এলাকা) চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসির নতুন ও পুরাতন এলাকাগুলোর মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য রয়েছে। পুরনো এলাকার রাস্তা ও ড্রেনসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে মাঠ, পার্ক ও ফুটপাত এসব দখল। আমরা এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করছি৷ আর ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নির্মাণ করতে হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা করে সাজানো হবে। কোন ইনজাস্টিস হবে না নতুন ওয়ার্ডগুলোতে। নতুন আরবানাইজেসন করা হবে কিন্তু পরিকল্পিত হবে।’

একসময় এগুলো ইউনিয়ন ছিল। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে প্রশস্থ রাস্তা নির্মাণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এসব আমরা করবো কিন্তু সময় লাগবে। বিশেষ করে দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নাই, জলাবদ্ধতা সমস্যা। আমি তাদের সাথে বসেছি। সমস্যাগুলো সমাধানে পরিকল্পনা করে কাজ করছি।’

এসময় তিনি বলেন, ‘বেরাইদ ও আশেপাশের এলাকায় সরেজমিনে এসেছি। এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই এলাকা যেন দক্ষিণখান-উত্তরখানের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন না হয়ে যায়। এই এলাকার রাস্তা নির্মাণের অনেক আবেদন পেয়েছি৷ তাই আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি, আবেদন অনুযায়ী রাস্তাগুলোর যৌক্তিকতা আছে কিনা সেটি দেখছি। জনগণের জন্য লাভবান হলেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে, অন্যথায় হবে না।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেরাইদ ও আশেপাশের এলাকায় চলমান কাজে কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি পেয়েছি৷ ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ খরচে মেরামত করার জন্য। ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা ব্যবস্থা নিব, প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছি মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হয় না। তাই যারা এই কাজটি করতো তাদের সাথে চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি। মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটি তদারকিতে আমরা সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেডিকেটেড ডেঙ্গু ইউনিট করার বিষয়ে আমরা আহবান জানিয়েছি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিজেদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। অন্তত সপ্তাহে দুইদিন যার যার বাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে। আমরা অভিযান করবো, এডিসের লার্ভা পেলে জরিমানা করা হবে।’

ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে (নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে) বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

ডিএনসিসির নতুন এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ে সাংবাদিকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা কর মেলা (হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের জন্য) আয়োজন করবো। এই মেলায় ওয়ান স্টপ সেল থাকবে। সেখানে একদিনেই তাৎক্ষনিক হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে। মেলাতেই করা ছাড়ের আবেদনের ব্যবস্থা করবো। ভোগান্তি ছাড়া স্বল্প সময়ে মেলাতে আপনারা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে পারবেন। নতুন এলাকার জন্য শুধু গৃহকর নেওয়া হবে, এছাড়া অন্য কোন কর নেওয়া হবে না।’

 

 

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular